Tuesday, August 5, 2025

সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন মেঘনা আলম

আরও পড়ুন

আট মাস আগে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দয়াইলানের সঙ্গে নিজের পরিচয় হয় বলে জানিয়ে আলোচিত মডেল অভিনেত্রী মেঘনা আলম বললেন, উনার (সৌদি রাষ্ট্রদূত) সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে আমি লুকোচুরি করছি; বিষয়টা এমন নয়। উনাকে নিয়ে আমার প্রচুর পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিল। আমাদের দুজনের বন্ধু মহলও বিষয়টি জানতো। যেহেতু তিনি ফেমাস কেউ নন। তাকে কেউ তেমনভাবে চিনতো না, কেউ কিছু বলতোও না।

গতকাল (২ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন যখন বিষয়টি নিয়ে অনেক নিউজ হয়েছে তখন তাকে চিনেছে। আগে কিন্তু সে সাধারণ লোকজনের মতোই ছিল; আমি যে লুকোচুরি করেছি তেমন কিছু কিন্তু নয়। এমনকি সেও যে বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিল; এটা তেমনও নয়। এটা খোলাখুলিই ছিল।

আরও পড়ুনঃ  বোরকা পরে অপু বিশ্বাসের আত্মসমর্পণ, যত টাকা মুচলেকায় মিলল জামিন

তাদের সম্পর্কের শুরুর দিক নিয়ে মেঘনা আলম বলেন, আমাদের সম্পর্কের শুরুটা ওরই একজন বন্ধু আমাকে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে হয়। সেটা কিন্তু কোনো রোম্যান্টিক পরিচয় ছিল না। আমি যেহেতু নারী অধিকার নিয়ে কাজ করি; এমনকি ভৌগলিক আবহাওয়া নিয়েও আমাকে কাজ করতে হয়। সৌদি আরবে নতুন একটা শহর ডেভেলপ হচ্ছে। আমি যেমন বাংলাদেশের ভালো এবং উন্নয়নমূলক প্রচারণা করতে চাই তেমনই সৌদিও চায় যে- মানুষ ওদের রক্ষণশীল দেশ মনে না করে তাদের আরও আধুনিক দেশ হিসেবে বিবেচনা করুক। তখন আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করা হয়। মূলত তখনই বিষয়গুলো নিয়ে উনার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে এক অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। তখন উনার দিক থেকে আমাকে পছন্দ করা হয়। যদিও আমি বিষয়টি জানতাম না। আমি এটা এক্সপ্লেইন করতে পারবো না। আমি উনার সঙ্গে জীবনে প্রথমবার মিট করেছি। তখন আমাদের মধ্যে কেবল হায়-হেলো হয়। সেই মুহূর্তে আমি জানতাম না যে এই মানুষটা আমার জীবনের সঙ্গে মিশে যাবে।

আরও পড়ুনঃ  ছাদে খেলতে গিয়ে গুলি লেগে রিয়ার মৃত্যু, ১১ মাস পর মামলা

তিনি দাবি করেন, সেই প্রোগ্রাম শেষে আমি চলে যাই। এর সপ্তাহ-খানেক পর তিনি আমার মোবাইল নাম্বার আর ঠিকানা খুঁজে বের করে আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তখন অপরিচিত নাম্বার দেখে আমি রিসিব করি না। এমনকি আমি উনাকে একবার মেসেজও করি যে আপনার বিজনেস কার্ড দেন। এরপর তিনি আমার এবং তার পরিচিতজনদের বারংবার রিকোয়েস্ট করেন যে মেঘনা আলমকে বলো- সে যেন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর এক সময় তিনি আমার সঙ্গে শুধু একটা কফি ডেটের জন্য আবদার করেন। এরপর আমার দিক থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে একটা বিশ্বাস স্থাপন হয়।

আরও পড়ুনঃ  এজাহার থেকে আসামীর নাম গায়েব, পরিবারের অভিযোগ মূহুর্তেই এজাহার পাল্টেছে পুলিশ

কফি ডেটের ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, এরপর সেই কফি ডেটে তিনি আমার আঙুলে একটা হীরার আংটি পরিয়ে দেন। তখন তিনি বলেন- আমি তোমাকে রেস্পেক্ট করি, তোমাকে বিশ্বাস করি এবং চিরদিনের জন্য তোমার দায়িত্ব নিতে চাই। যদিও তখন আমি নিজেই উনার সেই আংটি ফেরত দিই। এ ঘটনার অনেক দিন পর সে আমাকে অনেকের মাধ্যমে আবারও রিকোয়েস্ট করে যে- আমি যেন তার সঙ্গে শেষ দেখাটা করি। এভাবেই আমরা এগিয়ে যাই।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ