জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ চার নেতা এবং আরও দুইজনসহ মোট ছয়জন হঠাৎ কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার পৌঁছান এবং সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
বর্তমানে তারা মেরিন ড্রাইভের ইনানী সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ৫১০১ থেকে ৫১০৩ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
এনসিপির নেতাদের মধ্যে রয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সারজিস আলম ও তার স্ত্রী, তাসনিম জারা ও তার স্বামী।
তাদের কক্সবাজার সফরকে ঘিরে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে এসেছেন। তবে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী অডিও বার্তায় এসব গুজবকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, মিডিয়াতে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের যে খবর ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা শুধুমাত্র বেড়াতে কক্সবাজার এসেছি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশও জানিয়েছে, হোটেলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নেই, কেবল তিনজন চীনা নাগরিক রয়েছেন। সী পার্ল হোটেলের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুজ্জামানও নিশ্চিত করেছেন যে পিটার হাস হোটেলে আসেননি।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো.সাইফ উদ্দিন শাহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজারের সি পার্ল হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নেই। পুরো হোটেল জুড়ে মাত্র তিনজন বিদেশি চায়না নাগরিক আছেন। পিটার হাসকে হোটেলে পাওয়া যায়নি।
সি-পার্লের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানের ৩টি রুমে ৬ জন অবস্থান করছেন। যার একটিতে হাসনাত আবদুল্লাহ ও নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, একটিতে সারজিস আলম ও তার স্ত্রী, অপরটিতে তাসনিম জারা ও তার স্বামী।
তিনি বলেন, পিটার হাস বা এ রকম কেউ তাঁদের হোটেলে আসেননি।
তবে উখিয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা হোটেলের বাইরে অবস্থান নিয়ে দাবি করছেন, রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন ৫ আগস্টে হঠাৎ এ সফর সন্দেহজনক।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের হঠাৎ আগমন মানুষের মনে কৌতূহল ও সন্দেহ তৈরি করেছে। পিটার হাসের উপস্থিতির ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই, তবে বিষয়টি স্পষ্ট করা জরুরি।