Tuesday, August 19, 2025

ভয়াবহ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, যা জানা গেল

আরও পড়ুন

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত চতরা বিলে অস্ত্র তৈরি কারখানার সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ভোরে সন্ত্রাসী ময়েজ বাহিনীর আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আতাইকুলা থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম।

জানা যায়, আতাইকুলা থানার অন্তর্গত আটঘরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত চতরা বিলে সন্ত্রাসী ময়েজ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ও আতাইকুলা থানা পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে ওই বিলে ময়েজ বাহিনীর আস্তানায় বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় বিলের মধ্যে লুকানো ঘাঁটি থেকে অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, কাটিং মেশিন, ড্রিল মেশিন, লোহার পাত, গানপাউডারের মতো উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা করা হয়। 

আরও পড়ুনঃ  বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়ায় ক্ষোভে যে কাণ্ড ঘটালেন যুবক

এ সময় আস্তানা থেকে অধিকাংশ সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও দুজন আটক হয়। আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ডাকাতি ও চাঁদাবাজির জন্য এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল। তবে এর পেছনে আরও বড় কোনো নেটওয়ার্ক জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

স্থানীয়রা জানান, চতরা বিলের দুর্গম চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ময়েজ বাহিনীর তৎপরতা চলছিল। দিনের বেলায় তেমন দেখা না গেলেও রাতে তারা অস্ত্রসহ মহড়া দিত। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত ছিল। বিলে বিপুল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  “১০ বছর পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, তখন দেইখ্যা নেব” - ওসিকে ভারতীয় নম্বর থেকে হুমকি

এ বিষয়ে আতাইকুলা থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম বলেন, আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চতরা বিলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল ময়েজ বাহিনী। বেশ কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ  করার পর মঙ্গলবার ভোরে ওই বিলের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ও অন্যদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। অস্ত্র তৈরির আস্তানা নিয়ে মিডিয়াকে পরে বিস্তারিত ব্রিফিং করা হবে। 

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ