রাজশাহীর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটিরই সাবেক এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক মারুফ খাকি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে হাতেনাতে আটক করেন। বর্তমানে শিক্ষক মারুফ রাজশাহী সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ঘাড়ে তিনটি এবং হাতে চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ছাত্রীটি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বহিষ্কৃত হয়। বর্তমানে সে রাজশাহী বিজিবি স্কুলে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। তার বাবা রাজশাহীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত এবং ছোট ভাই একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল ছুটির পর শিক্ষক মারুফ খাকি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় এক কিশোরী ‘হেল্প হেল্প’ বলে চিৎকার করতে থাকে। শিক্ষক মারুফ তাকে বিপদে পড়েছে ভেবে কাছে গেলে ছাত্রীটি ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে তার ঘাড়ে আঘাত করে। শিক্ষক প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও হাতে গুরুতর জখম হয়। আশপাশের অভিভাবক ও দোকানিরা এগিয়ে এসে শিক্ষককে রক্ষা করেন এবং ছাত্রীটিকে আটক করেন।
আটকের পর ছাত্রীটি শিক্ষকদের উদ্দেশে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম গণমাধ্যমে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।