Wednesday, August 27, 2025

বিকৃত সেই পোস্টারই হয়ে উঠল তামান্নার হাতিয়ার, শেয়ার করে যা লিখলেন

আরও পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার প্রথম দিনেই ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রচারণা বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রচারণার বোর্ডে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সাবিকুন নাহার তামান্না ছবি বিকৃত করা হয়। এবার সেই ছবি দিয়েই নিজের প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ফেসবুকে নিজ আইডিতে সেই ছবিটি শেয়ার করে এ প্রচারণা শুরু করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ার পথযাত্রী, আমরা থামব না। সাথে নিজের নাম সাবিকুন নাহার তামান্না লিখে তুলে ধরেন নিজের ব্যালট নম্বর (২০৪)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তামান্না। কবি সুফিয়া কামাল হলের এই ছাত্রী এবার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুনঃ  অপরাধের শীর্ষে এখন ৩ শহর ভয়ে মুখ খুলছেন না অনেকেই

পরে আরেকটি পোস্টে তামান্না লিখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষার্থীদের চাহিদার আলোকে কমনরুম ফ্যাসিলিটি অত্যন্ত অপ্রতুল। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য কমনরুম থাকলেও পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য কমনরুম নেই। প্রয়োজনের আলোকে কমনরুমের সংখ্যাও নগন্য। কমনরুম কেন্দ্রীক সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলমান, এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোন সমস্যাই সমাধান হয়নি। কমনরুমকেন্দ্রিক যে ফ্যাসিলিটিগুলো নিশ্চিত করা প্রয়োজন: ১.ডিপার্টমেন্ট ও জোনভিত্তিক কমনরুম স্থাপন; ২. শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে কমনরুমের আয়তন সম্প্রসারণ; ৩.কমনরুমে বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে; ৪.কমনরুমে পুরুষ কর্মচারীর প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের গোপনীয়তা রক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ৫.কমনরুম পর্যাপ্ত আলো বাতাস সম্পন্ন হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘প্রকৃত মৃতের তথ্য গোপন রাখা হয়েছে’

তামান্না লিখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্যানিটেশন ব্যবস্থায় প্রশাসন যেমন নিয়মিত নয়,তেমনি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সচেতনতা কম। অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টে একের অধিক মেইল ও ফিমেইল ওয়াশরুম নেই, একটি ওয়াশরুম কোনভাবে নষ্ট হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই। বীনের ময়লা সময় মতো ফেলা হয় না, ওয়াশরুম নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না, স্যানিটেশন উপকরণ পর্যাপ্ত নেই, হ্যান্ডওয়াশ রিফিল করা না, হ্যান্ড টাওয়েল পরিবর্তন করা হয় না, মোটকথা তদারকি বিহীন স্যানিটেশনের ভুক্তভোগী আমরা সকলে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সহ ক্লাসরুম, কমনরুম,টয়লেটে প্রয়োজনের আলোকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থে এবং শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে ধারাবাহিক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  ব্রেকিং নিউজ : ১৪৪ ধারা জারি!

সবশেষে তামান্নার বক্তব্য, ক্যাম্পাসকে শিক্ষাবান্ধব করতে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সময়ের দাবি, সক্ষমতার আলোকে ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করব ইনশাআল্লাহ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ