Monday, October 6, 2025

মেসেঞ্জারে দুই সহকর্মী ‘খারাপ’ বলায় নিজের বিচার চেয়ে শিক্ষকের অবস্থান কর্মসূচি

আরও পড়ুন

যশোরের মনিরামপুর সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান। নিজের ‘অপরাধের’ বিচার দাবি করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হয়েছেন ভাইরাল।

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কলেজ ফটকে ব্যানার ঝুলিয়ে তিনি এই কর্মসূচি পালন করেন। খবর পেয়ে আধাঘণ্টা পর কলেজের অধ্যক্ষ ওই শিক্ষকের কর্মসূচি ভাঙিয়ে তাকে অফিস কক্ষে নিয়ে যান। তার এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই শিক্ষকের অভিযোগ, কলেজের একই বিভাগের রুহুল কুদ্দুস টিটো ও ভূগোল বিভাগের আব্দুস সালাম কলেজের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে গ্রুপে তাকে নিয়ে নানা আপত্তিকর কথা লিখেছেন; যা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। তিনি কথাগুলোর ভার নিতে না পেরে আত্মহত্যার করতে চেয়েছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত পাল্টে নিজের বিচার দাবি করে তিনি কলেজ ফটকে অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুনঃ  দুর্গাপূজার পরই দেশে ফেরার চেষ্টা চালাবে আ.লীগাররা

হাফিজুর রহমান বলেন, কলেজে নিয়মিত কমিটি গঠনের উদ্দেশে শিক্ষক প্রতিনিধি (টিআর) নির্বাচন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার আলোচনা হয়েছে। নিয়মিত কমিটিতে তিনজন টিআর নির্বাচিত হবেন। আমি একজন প্রার্থী। বর্তমান অ্যাডহক কমিটির টিআর রুহুল কুদ্দুস টিটো ও শিক্ষক আব্দুস সালামসহ আমরা ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অধিকাংশ শিক্ষক আমাকে ভোট দিতে চেয়েছেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে টিটো ও আব্দুস সালাম আমার সম্পর্কের কলেজের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে উল্টোপাল্টা লিখেছেন।

হাফিজুর রহমান বলেন, ওই দুই শিক্ষকের ভাষায় আমি ‘খারাপ’ মানুষ। আমি মনে করি আমি খারাপ হলে আমার বিচার হওয়া উচিৎ। এজন্য আমি নিজের বিচার দাবি করে কলেজের সামনে ব্যানার ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।

আরও পড়ুনঃ  টানা বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের দুঃসংবাদ

তিনি বলেন, পরে অধ্যক্ষ স্যার এসে আমাকে অনুরোধ করে অফিসে নিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, আমার অভিযোগ লিখিত আকারে জানাতে। তিনি একটা সমাধান দেবেন। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এজন্য লিখিত দেওয়ার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত জানাইনি।

এ বিষয়ে রুহুল কুদ্দুস টিটো বলেন, হাফিজুর রহমান নিজে থেকে কলেজে নানা দায়িত্বে আসতে চান। গতকাল সোমবার কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। তাকে দায়িত্ব না দেওয়ায় তিনি চটেছেন। এছাড়া টিআর নির্বাচনে তাকে ভোট না দিলে তিনি কয়েকজন শিক্ষককে ‘দেখে নেবেন’ বলে হুমকি দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  বাসর ঘরেই তালাক দশম শ্রেণীর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী

তিনি আরও বলেন, আমাদের কলেজের ১০-১২ জন শিক্ষকের একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ আছে। ভোট চাওয়া নিয়ে কয়েকজন শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে পেরে গ্রুপে আমি লিখেছিলাম- হাফিজুর ভাই, আপনার চেহারা দিন দিন সুন্দর হচ্ছে কিন্তু আচরণ ভাল করা দরকার। এর বাইরে তাকে নিয়ে খারাপ কোনো মন্তব্য আমরা কোনো শিক্ষক করিনি।

সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক হাফিজুর রহমানের অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে জানতে পেরে আমি নিজে তাকে কর্মসূচি ভাঙিয়ে অফিসে ডেকে এনে আলোচনায় বসেছিলাম। তিনি দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্যের অভিযোগ তুলে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন। আমি প্রমাণাদিসহ তাকে অভিযোগ লিখিত আকারে জানাতে বলেছি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ