Monday, August 18, 2025

কাল বিয়ে, আজ হাতকড়া—লুকিয়ে ক্যাম্পাসে এসে ধরা খেলেন জবি ছাত্রলীগ নেতা

আরও পড়ুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রিটেক পরীক্ষার আবেদন করতে আসলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের ধস্তাধস্তি হয়। শুক্রবার (৪ জুলাই) তার বিয়ে বলে জানা গেছে।

আটককৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম শরিফুল ইসলাম সাজিদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিভাগের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের ব্যাংকপাড়া এলাকায়।

জানা গেছে, সূত্রাপুর থানায় তার নামে একটি মামলা ছিল। পরে তাকে আটক করা হলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

আরও পড়ুনঃ  ২৫ উপজেলায় পূরণ হয়নি ২০০ ভোটারের শর্ত

এ বিষয়ে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান সজীব বলেন, ‘আমরা খবর পাই যে সে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে। পরে আমরা সেখানে তাকে ধরতে যাই, যেখানে আমাদের সঙ্গে তার এবং তার কয়েকজন সহপাঠীর ধস্তাধস্তি হয়। তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে।’

ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে তারা আমাদের উপর নির্মম জুলুম-নির্যাতন করেছে। আমাদেরকে বিল্ডিংয়ের আন্ডারগ্রাউন্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। তার উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।’

উপস্থিত এক সাংবাদিক বলেন, ‘গত বছর তিনি সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছিলেন। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। আমার কাছে সেই ঘটনার ভিডিও ডকুমেন্টও রয়েছে।’

আরও পড়ুনঃ  গোপালগঞ্জের উদ্দেশে বরিশাল ছেড়েছেন এনসিপি নেতারা

ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সাজিদ। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সাজিদ ইসলাম’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করে লেখা হয়— ‘কাল থেকে একদল তরুণের প্রবেশ হবে যাদের হারানোর কিছুই নেই, না একটা গোছানো রুম, না সম্মান, না বন্ধু, না কোনো আপনজন, না সার্টিফিকেট। কিছুই নেই, নেই ভয়, নেই লজ্জা, নেই আবেগ, নেই দরদ। তারা হবে নির্ভীক, তারা হবে ভয়ংকর সুন্দর!’

আরও পড়ুনঃ  জানা গেল ঢাবি ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রী ও সেক্রেটারির পরিচয়

অভিযোগ সম্পর্কে আটক হওয়া ছাত্রলীগ নেতা সাজিদ বলেন, ‘আইডিটি আমার নয়। আমি এমন কোনো পোস্ট করিনি। আগামীকাল আমার বিয়ে, তাই আগামী সপ্তাহে আসতে পারব না বলে আজ এসেছি। আমি এসেছিলাম রিটেক পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখব, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না। যদি থাকে, তাহলে তাকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর যদি না থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ