Saturday, July 5, 2025

যুবদল নেতার ছেলের রহস্যজনক মৃত্যু, সিসিটিভির ফুটেজ গায়েব

আরও পড়ুন

বরিশালের গৌরনদীতে এক যুবদল নেতার একমাত্র ছেলের আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবার সরাসরি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ না করলেও মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে দাবি করেছেন।

নিহতের বাবা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাউদের খাল এলাকার বাসিন্দা স্বপন সরদার জানান, গত ২২ জুন সন্ধ্যায় তার একমাত্র ছেলে অনিম সরদারকে (২২) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ মাদক কারবারি হীরা মাঝির বিশ্বস্ত সহযোগী অপর মাদক কারবারি শাওন দেওয়ান। ওই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শাওন ও অনিম নিলখোলা এলাকার হীরা মাঝির বাসায় অবস্থান করছিল।

আরও পড়ুনঃ  থানায় হামলা করে আসামি ছিনতাই, ওসিসহ আহত ২৩

তিনি বলেন, একইদিন রাত ১২টার দিকে আমাকে জানানো হয় সাউদের খালপাড় এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আমার ছেলে অনিম গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনার কোনো আলামত পাইনি। পরে গত ২৩ জুন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আমার একমাত্র ছেলে অনিম।

যুবদল নেতা স্বপন সরদার অভিযোগ করে বলেন, ছেলে হীরা মাঝির নিলখোলার বাসা সম্পূর্ণ সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তবে আমার ছেলের মৃত্যুর পর আমি সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে চাইলে তারা আমাকে জানিয়েছে ফুটেজ রেকর্ড হয় না। আমাকে কোনো ফুটেজ না দেখিয়ে তারা সিসিটিভির ফুটেজ সব গায়েব করে ফেলেছে। যে কারণে মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। আমার ছেলের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আরও পড়ুনঃ  এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা, হিজড়াদের সহয়তায় উদ্ধার

এ বিষয়ে হীরা মাঝি বলেন, অনেকদিন যাবত আমার বাসায় সিসিটিভির লাইন নেই। সিসিটিভির ফুটেজ গায়েবের বিষয়টি সঠিক নয়। মূলত ওই দিন নীলখোলা থেকে আমাদের পুরোনো বাড়িতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয় আমার স্ত্রী, মোটরসাইকেল চালক শাওন ও অনিম সরদার। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে অনিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে এবং আমার স্ত্রী ও মোটরসাইকেলচালক শাওন বরিশালের একটি হাসপাতালে গুরুত্র অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।

আরও পড়ুনঃ  টাঙ্গুয়ার হাওরে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ