Monday, July 7, 2025

অবশেষে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান? আলোচনায় ৪টি সম্ভাব্য তারিখ

আরও পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন—এমন গুঞ্জন আবারও জোরালো হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা এই নেতার দেশে ফেরার আলোচনায় এখন ঘুরপাক খাচ্ছে চারটি সম্ভাব্য তারিখ। দলের অভ্যন্তরে যেমন প্রস্তুতি চলছে, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তেজনা তুঙ্গে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন তুঙ্গে

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের আশা ছিল, দলীয় নেতা তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন। কিন্তু সময় গড়িয়ে এক বছর পার হয়ে গেলেও সেই প্রত্যাবর্তন বাস্তবে দেখা যায়নি।

তবে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এসে আবারও আলোচনায় এসেছে তারেক রহমানের ফেরা। BNP-র শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন—তিনি দেশে ফিরছেন, প্রস্তুতি চলছে। তবে তারা কেউই দিন-তারিখ নিশ্চিত করে বলতে রাজি নন।

আরও পড়ুনঃ  অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থা না থাকলে দেশ মহাসংকটে পড়বে: মঞ্জু

আলোচনায় চারটি সম্ভাব্য তারিখ

দলীয় সূত্র এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য চারটি দিনকে ঘিরে জোর আলোচনা হচ্ছে:

২৮ জুলাই ২০২৫

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের বর্ষপূর্তির ঠিক এক সপ্তাহ আগে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। সময়টি প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে।

৫ আগস্ট ২০২৫

গত বছর এই দিনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। অন্তর্বর্তী সরকার দিনটিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই দিনে ফিরে আসা হতে পারে কৌশলগত ও আবেগঘন।

ডিসেম্বর ২০২৫–জানুয়ারি ২০২৬

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন, যাতে তিনি সরাসরি নির্বাচনী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  মৃত্যুর পর দেশের মাটিতেই ঠাঁই চান শেখ হাসিনা, যা জানা গেল

ফেব্রুয়ারি ২০২৬

নির্বাচন-পূর্ব সময়ে দলের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে এই সময়টিকেও সম্ভাব্য হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

প্রস্তুত হচ্ছে গুলশানের বাসা

গুলশান-২ এলাকার ১৯৬ নম্বর বাড়িটি ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বাড়ির ভেতরে-বাইরে রং, সংস্কার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশে ফিরলে এই বাসাটিই হতে পারে তারেক রহমানের মূল আবাসস্থল।

এ ছাড়া ফিরোজা (খালেদা জিয়ার বাসা), বারিধারা ডিওএইচএস ও ধানমণ্ডির পৈতৃক বাড়ির কথাও আলোচনায় আছে।

নেতারা বলছেন—‘ফিরছেন তিনি’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেন,

“তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন। আমরা তার প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন,“তারেক রহমানের দেশে ফিরতে এখন কোনো আইনগত বা রাজনৈতিক বাধা নেই। সিদ্ধান্ত শুধু তার নিজের হাতে।”

আরও পড়ুনঃ  গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন, টুঙ্গিপাড়ার মানচিত্র বদল : রনি

দেশে ফিরতে আর কোনো বাধা নেই

২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হওয়া এবং পরে জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাতিল হয়ে গেছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন,“তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বিধিবদ্ধ বাধা নেই।”

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার—এমনটাই মনে করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে সেটি ২৮ জুলাই, ৫ আগস্ট, ডিসেম্বর না ফেব্রুয়ারি—তা নিয়ে এখনো দোলাচলে গোটা দেশ।

তবে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে:

“এবার কি সত্যিই ফিরছেন তারেক রহমান?”

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ