Wednesday, August 13, 2025

কিম জং উনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা করবেন নারী

আরও পড়ুন

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির এক নারী যিনি বর্তমানে দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাস করছেন। শুধু কিম নয়, পিয়ংইয়ংয়ের আরও চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন ওই নারী।

বিবিসির এক প্রতিবেদন মতে, চোই মিন-কিয়ুং নামের ওই নারী ১৯৯৭ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে চীনে পালিয়ে যান। কিন্তু ২০০৮ সালে তাকে জোরপূর্বক তার নিজের দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়। দেশে ফেরার পর তাকে আটক করে কোরীয় কর্তৃপক্ষ। তার অভিযোগ, আটক থাকাকালে তাকে যৌন নির্যাতন ও মারধর করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ভূমিকম্পে কাঁপছিল অপারেশন থিয়েটার, তবুও সার্জারি চালিয়ে যাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা

দক্ষিণ কোরিয়া-ভিত্তিক একটি অধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ জুলাই) এই মামলা দায়ের করা হবে। সেক্ষেত্রে এটা একটা ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন ঘটনা হতে যাচ্ছে। কারণ প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী কোনো ব্যক্তি তার নিজ দেশের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

অতীতে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত একই ধরণের নির্যাতনের অভিযোগে নিজ দেশের নাগরিকদের করা মামলায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। কিন্তু এই ধরনের রায় মূলত প্রতীকী বিবেচনা করে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  এইমাএ পাওয়া: একদিনেই ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

অধিকার গোষ্ঠী ডাটাবেস সেন্টার ফর নর্থ কোরিয়ান হিউম্যান রাইটস (এনকেডিবি) বলেছে, তারা চোইয়ের মামলাটি জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

গত বুধবার (৯ জুলাই) চোই বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে চাই যে, এই ছোট পদক্ষেপটি স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে উঠুক, যাতে এই নৃশংস শাসনের অধীনে আর কোনো নিরপরাধ উত্তর কোরীয় না ভোগেন।’

চোই চীন থেকে ফেরার পর ২০১২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যান এবং সেখানেই বসতি গাড়েন। তিনি বলেন, তিনি যে ‘অগ্নিপরীক্ষার মধ্যদিয়ে গেছেন সেই মানসিক আঘাত এখনও রয়ে গেছে এবং তিনি এখনও ওষুধের উপর নির্ভরশীল’।

আরও পড়ুনঃ  বিমান সফলভাবে অবতরণের পরও সকল যাত্রী নিহত কিভাবে?

তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার শাসন ব্যবস্থার নির্যাতনের শিকার এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য কিম পরিবারকে জবাবদিহি করার জন্য আমার এক গভীর ও জরুরি দায়িত্ব রয়েছে।’

বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রাজনৈতিক বন্দিদের নির্যাতন থেকে শুরু করে লিঙ্গ ও শ্রেণীর ভিত্তিতে পদ্ধতিগত বৈষম্যও রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ