Friday, July 18, 2025

শিক্ষকের কুপ্রস্তাব ও হুমকি, নিজের গায়ে আগুন দিলেন কলেজছাত্রী

আরও পড়ুন

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার বালাসোরের একটি কলেজের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাব আর হুমকি-ধামকির অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক ছাত্রী। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।

শনিবার (১২ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তাকে বাঁচাতে গিয়ে এক সহপাঠীও ৭০ শতাংশ পুড়ে আহত হয়েছেন। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী সূর্যবংশী সুরজ বলেন,‌ অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে এবং কলেজের অধ্যক্ষকে উচ্চশিক্ষা দপ্তর সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ  সোহাগকে বাঁচাতে কেউ না এলেও, এবার পুরান ঢাকায় হ'ত্যাচেষ্টা, রুখে দিল জনতা

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১ জুলাই ফকির মোহন কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ইন্টিগ্রেটেড বি.এড প্রোগ্রামের ওই ছাত্রী। অভিযোগে তিনি বর্ণনা করেন, তার বিভাগীয় প্রধান সমীর কুমার সাহু তাকে অনৈতিক প্রস্তাব গ্রহণে চাপ প্রয়োগ এবং তা না মানলে তার ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার হুমকি দিচ্ছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওই ছাত্রীকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরে শনিবার (১২ জুলাই) ওই ছাত্রী ও আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। সহপাঠীরা বলছেন, বিক্ষোভ চলাকালীন ওই ছাত্রী হঠাৎ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের কাছাকাছি গিয়ে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

আরও পড়ুনঃ  জিমে চুরি করে বিপাকে চোর, শাস্তি হিসেবে করতে হলো ব্যায়াম!

ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ছাত্রী শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর কলেজের একটি করিডোরের দিকে দৌড়ে যান। সে সময় এক ব্যক্তি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পরে ওই ব্যক্তির টি-শার্টে আগুন ধরে যাওয়ায় তিনি সরে যান। পরে অন্যদের আগুন নেভাতে দেখা যায়।

কলেজের অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষ বলেন, ওই ছাত্রীর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আজ ওই ছাত্রী আমার অফিসে এসেছিল এবং জানায়, সে মারাত্মক মানসিক চাপে রয়েছে। সে চায় আমি সাহুকে অফিসে ডাকি। আমি তাই করেছিলাম। আমি ছাত্রী ও শিক্ষক উভয়কেই জানিয়ে দিই, তাদের বক্তব্য মিথ্য প্রমাণিত হলে কী পরিণতি হবে। তবে শিক্ষক সাহু অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ছাত্রীও তার বক্তব্যে অটল ছিলেন।’

আরও পড়ুনঃ  পাত্রপক্ষকে গোপন ভিডিও দেখাতে বিয়ে বাড়িতে হাজির প্রেমিক, অতঃপর...

ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তীব্র আকার ধারণ করে। বালাসোরের পুলিশ সুপার রাজ প্রসাদ বলেন, ‘শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রমাণ সংগ্রহে একাধিক দল কাজ করছে। দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ