জনপ্রিয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এখনই সময় আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা বাস্তবায়নের।’ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
পিনাকী তার পোস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষণাসংবলিত একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেছেন। ফটোকার্ডটিতে বেগম খালেদা জিয়ার ছবির পাশে লেখা, ‘গোপালগঞ্জের নামই বদলে দেব’।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ শীর্ষক পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল বিএনপির। এতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। কর্মসূচিতে যোগ দিতে নয়াপল্টনে যাওয়ার উদ্দেশে গাড়িতে উঠলেও বাধার মুখে তাকে গাড়ি থেকে নেমে ঘরে ফিরতে হয়েছে।
টানা দুই ঘণ্টা চেষ্টা করেও গুলশানের বাসা থেকে বের হতে না পেরে পুলিশ, সরকার ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া।
এ সময় গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ক্ষোভ প্রকাশের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘দেশ কোথায়? গোপালি? গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জের নামই থাকবে না। যারা এসব করছেন, আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে।
’
সাবেক তিনবারের এই প্রধানমন্ত্রী সেদিন পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের অফিসার কোথায়? এতক্ষণ তো অনেক কথা বলেছেন….মুখটা বন্ধ কেন এখন? গোপালগঞ্জের জেলার নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জ আর থাকবে না। …৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করল। সেদিন হাসিনা কোথায় ছিল? সেদিন হাসিনার এই ফোর্স কোথায় ছিল? কেন সে পাঠায়নি এই ফোর্সকে। কারণ সে নিজেই জড়িত ছিল এই হত্যাকাণ্ডে।
’
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে এনসিপির পদযাত্রায় হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অনেক গাড়িও ভাঙচুর করে তারা। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। হামলাকারীরা তাদের ওপরও চড়াও হয়। পরে অনেককে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই সশস্ত্র আস্ফালনে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ফেসবুকে অনেকেই ক্ষোভ জানিয়ে খালেদা জিয়ার পুরনো সেই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।