‘ক্লাস চলছিল, হঠাৎ একটা শব্দ হয়, এগিয়ে গিয়ে দেখি ছোট বাচ্চারা রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছে’-বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এরপর বিল্ডিং কাঁপতে থাকে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাইরে তাকিয়ে দেখি ধোঁয়া উড়তেছে। আমাদের ক্লাস থেকে বেশ খানিকটা দূরে ছিল।’
এর আগে এদিন দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ৬০ জনকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহনাফ আহমেদ বলেন, ‘আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি ছোট বাচ্চারা আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসছে। অনেকের শরীর রক্তাক্ত। ওই বিল্ডিংয়ে ছোট বাচ্চাদের ক্লাস হতো। আর বিমানটা একটু দূরে পড়ে ছিল। তখনও বিমানে আগুন ছিল। বিল্ডিংয়ের একাংশ ও ক্যান্টিনে আগুন জ্বলছিল।’
চা দোকানদার লোকমান আলী বলেন, ‘মাইলস্টোনের দক্ষিণপাশে আমার দোকান। দোকানেই ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ। শব্দর পর বেরিয়ে দেখি আগুন। বাচ্চারা ছোটাছুটি করতেছে।’
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিমানটি একটি অ্যাকাডেমিক ভবনের গেটে আছড়ে পড়ে। সেখানে স্কুলের বাচ্চাদের ক্লাস চলছিল।’