Monday, August 11, 2025

বাড়ি ছেড়ে পালায় কিশোরী, ভারতে ২০০ লোকের ধর্ষণের শিকার

আরও পড়ুন

ভারতের মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ এক মানব পাচার ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ১২ বছরের এক বাংলাদেশি শিশু উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, রাজ্যের নাইগাঁও এলাকায় একটি পতিতাবৃত্তি চক্রের হাতে তিন মাস ধরে বন্দি ছিল শিশুটি। এ সময় ২০০ জনেরও বেশি পুরুষের যৌন নির্যাতনের শিকার হয় সে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও নিউজ১৮ সোমবার (১১ আগস্ট) ঘটনাটি প্রকাশ করেছে।

স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এনজিও এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও হারমনি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় গত ২৬ জুলাই মীরা-ভায়ন্দর ভাসাই-ভিরার (এমবিভিভি) পুলিশের মানব পাচারবিরোধী ইউনিটের একটি অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলকে স্বীকৃতিতে প্রস্তুত সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ, তবে…

হারমনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আব্রাহাম মাথাই জানান, প্রথমে শিশুটিকে গুজরাটের নাদিয়াদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে টানা তিন মাস ধরে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। “মেয়েটি এখনও কৈশোরে পা রাখেনি, অথচ কিছু নৃশংস মানুষ তার শৈশব কেড়ে নিয়েছে,” তিনি বলেন।

তার ভাষ্যমতে, স্কুলে একটি বিষয়ে ফেল করার পর বাবা-মায়ের বকা খাওয়ার ভয়ে মেয়েটি পরিচিত এক নারীর সঙ্গে পালিয়ে যায়। পরে সেই নারী তাকে গোপনে তাকে পতিতাবৃত্তি চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়।

আরও পড়ুনঃ  মাটি স্পর্শ করার আগেই বিধ্বস্ত হয় বিমান, দাউদাউ আগুনে পুড়ল চারপাশ

মাথাই দাবি করেন, শিশুটি যাদের নাম জানিয়েছে, তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।

পুলিশ কমিশনার নিকেত কৌশিক বলেন, এমবিভিভি পুলিশ পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ও চক্রের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ