পাকিস্তানের কিছু হলে অর্ধেক দুনিয়া সঙ্গে নিয়ে যাবে ইসলামাবাদ। আমেরিকার মাটিতে বসে সম্প্রতি ঠিক এভাবেই হুঙ্কার দেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তবে তার পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি ভারত। সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদেরও সম্মিলিতভাবে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
দ্বিবেদী সতর্ক করে বলেছেন, দেশের পরবর্তী সশস্ত্র সংঘাত হয়তো ধারণার চেয়েও শিগগিরই শুরু হতে পারে। সেই যুদ্ধে জয় পেতে সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন হবে।
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট আইআইটি মাদ্রাজে এক বক্তব্যে সেনাপ্রধান এ সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শিগগিরই হতে পারে। সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। এবার এই লড়াই আমাদের সবাইকে মিলে একসঙ্গে লড়তে হবে।’ সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জনসংযোগ) দপ্তর এ বক্তব্যের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
ভিডিও তাকে বলতে শোনা যায়, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা সদস্য, বিজ্ঞানী, শিল্পখাত, শিক্ষাঙ্গন ও নাগরিক—সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করেই তিনি সতর্ক করেন, আগামী সংঘাতে শত্রুপক্ষ হয়তো একা নয়, বরং অন্য কোনো দেশের সহায়তাও পেতে পারে।
জেনারেল দ্বিবেদী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর উদাহরণ টেনে বলেন, এটি ছিল অনেকটা দাবা খেলার মতো, যেখানে শত্রুপক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপ অনুমান করা কঠিন ছিল। ক্রিকেটের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও টেস্ট ম্যাচ চতুর্থ দিনে থেমে গিয়েছিল, তবে সংঘাত আরও অনেক দিন চলতে পারত।’
অভিযানের প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, এই অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে যে, রাজনৈতিক আস্থা, স্পষ্ট নির্দেশনা এবং সমন্বিত জাতীয় প্রস্তুতি থাকলে ভারত যে কোনো বড় সংঘাত মোকাবিলায় সক্ষম।