সিন্ডিকেট ভাঙার ফলে সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির উৎপাদনশীলতা বেড়ে যাওয়া এবং সিস্টেম লস কমে আসার কারণে ২০টি জরুরি ওষুধের দাম কমে গেছে। এতে সরকারি হাসপাতালের রোগীরা বছরে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা সাশ্রয়ের সুবিধা পাবেন।
এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি বার্ষিক প্রায় ১৫৯ প্রকার ওষুধ উৎপাদন করে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইনজেকশনসহ নয়টি ভিন্ন ধরনের ওষুধ। দেশের সরকারি ওষুধ বাজারে এই প্রতিষ্ঠানের ওষুধের পরিমাণ আনুমানিক ১৪০০ কোটি টাকা।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু সংস্কারমূলক কাজ হাতে নেয়। অপচয় কমিয়ে, সিন্ডিকেট ভেঙে এবং অপ্রয়োজনীয় ৭০০ কর্মচারী ছাঁটাই করে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫৯ কোটি টাকার সমপরিমাণ। এছাড়াও কাঁচামাল কেনায় টেন্ডার প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করায় কম খরচে কাঁচামাল ক্রয় সম্ভব হয়েছে, যা প্রতি মাসে প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।
সরকারি হাসপাতালগুলিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি এন্টিবায়োটিক ‘মেরুপেনাম’ ইনজেকশনের দামও কমে হয়েছে ৭৯৩ টাকা থেকে ৩৪৩ টাকা। এর পাশাপাশি ১৯টি অতীব জরুরি ওষুধের মূল্যও হ্রাস পেয়েছে।
এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারি ওষুধ উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নিজেদের কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়ে টোল ম্যানুফ্যাকচারিং বন্ধ করা হবে এবং সরকারি চাহিদার ৭০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
সরকারি ওষুধের দাম কমে আসায় দেশের দরিদ্র রোগীরা স্বস্তিতে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে আরও বেশি করে প্রয়োজনীয় ওষুধ উৎপাদন করে স্বাস্থ্যখাতে ভূমিকা বাড়ানো হবে।