বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রবাসী ইসরাফিল হোসেনের ১৩ বছরের জমানো ৮০ লাখ টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন তার স্ত্রী পারভিন আক্তার। সম্প্রতি উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ধাওয়াস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে নন্দীগ্রাম থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান। টাকা ফেরত পেতে স্ত্রীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ইসরাফিল।
অভিযুক্তরা হলেন- ইসরাফিলের স্ত্রী পারভিন আক্তার, তার বোন সাবিনা বেগম, ভাই আব্দুর রউফ ও বুলবুল হোসেন, দুলাভাই মিজানুর রহমান, ভাবী ছওদা বেগম ও বিউটি বেগম, বাবা একাব্বর হোসেন এবং পরকীয়া প্রেমিক হাসান আলী।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্র জানায়, ইসরাফিল ধাওয়াস গ্রামের ফরিদ হোসেনের ছেলে। তিনি প্রায় ১৬ বছর আগে পারভিন আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের তিন বছর পর স্ত্রীর পরামর্শে মালয়েশিয়া যান ইসরাফিল। প্রবাসে কাজ করে ১৩ বছরে প্রায় ৮০ লাখ টাকা স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে জমা করেন তিনি।
এদিকে স্বামীর দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে হাসান আলী নামে একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন পারভিন। স্বামী দেশে ফেরার খবরে কিছুদিন আগে ইসরাফিলকে তালাক দেন পারভিন। এরপর প্রেমিক হাসান আলীর সঙ্গে পালিয়ে যান।
তালাকের কাগজ পাওয়ার পরও স্ত্রীর পারভিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন ইসরাফিল। তিনি বিদেশ থেকে পাঠানো সব টাকা ফেরত চাইতে থাকেন। কিন্তু পারভিন বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানা শুরু করেন।
ইসরাফিল বলেন, আমি মালয়েশিয়া থাকাকালে পারভিন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। নানা অজুহাতে আমাকে দেশে ফিরতে নিষেধ করেন। এরপরও দেশে আসতে চাইলে প্রেমিক ও পরিবারের সদস্যদের প্ররোচনায় আমাকে তালাক দেন। এরপর হাসান আলীকে বিয়ে করেন।
তিনি বলেন, তার অ্যাকাউন্টে পাঠানো প্রায় ৮০ লাখ টাকা ফেরত দিচ্ছেন না পারভিন। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। গ্রামের মুরুব্বিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
অভিযুক্ত পারভিন ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, শিগগির ইসরাফিলের টাকা ও তার টাকায় কেনা সম্পদ ফেরত দেওয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে তাদের কিছু সময় দিতে হবে।
ওসি মোজাহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।