Thursday, August 28, 2025

একটি লোমহর্ষক ঘটনা ফাঁকা বাড়িতে যে কাণ্ড ঘটালেন কিশোরী

আরও পড়ুন

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চিরকুট লিখে শামীমা নাসরিন (১৭) নামে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছেন। তার বাবা-মা কেউ নেই। ২০০৯ সালে উপজেলার বলিদাপাড়ার ওয়াপদা এলাকার রাজিয়া খাতুন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

বুধবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করে শামীমা নাসরিন। মৃত্যুর আগে সে চিরকুট লিখে গেছে।

চিরকুটে লেখা, ‘এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই। যে ছিল সে চলে গেছে। আমার আর অধিকার নেই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার। আমার ইচ্ছের কোনো দাম নেই। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমি ইচ্ছে করেই আমার এই জীবন শেষ করে দিলাম।’

আরও পড়ুনঃ  ১৭ বছরের কিশোরের সঙ্গে ৪০ বছরের গৃহবধূ উধাও, অতঃপর...

শামীমার পালিত মা রাজিয়া খাতুন বলেন, আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবিকা পদে চাকরি করি। আড়াই বছর বয়সে ওকে বাড়িতে এনে লালনপালন করেছি। তখন থেকে কেউ তার খোঁজ নেয়নি। শামীমাকে এইচএসসি পাস করিয়ে নার্সিংয়ে ভর্তি করেছিলাম।

রাজিয়া খাতুন আরও বলেন, তিনতলা বাড়িতে শামীমা নিচতলায় থাকত। নিচতলায় কেউ না থাকায় সে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে মেয়েটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ