Thursday, August 28, 2025

দুই কৌশলে জামায়াত, চমক দেখাতে চান তরুণ প্রার্থীরা

আরও পড়ুন

বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণে বিএনপির বিকল্প প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদের জায়গা শক্ত করতে চাইছে জামায়াতে ইসলামী।

৫ আগস্টের পর থেকেই দলটি একইসঙ্গে আন্দোলন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করেছে।

সংবিধানে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির ভিত্তিতে ভোট আয়োজনের দাবি তুলছে দলটি। এ দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি একাধিকবার কঠোর অবস্থানের কথাও জানিয়েছে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা।

প্রকাশ্যে শক্ত ভাষায় নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিলেও অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতিতে দলটি যে বেশ এগিয়ে আছে, তার প্রমাণ মিলছে।

জানা গেছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াত ইতোমধ্যে প্রায় ২৯০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ নেতা এবার ভোটের ময়দানে নামতে যাচ্ছেন। দলীয় সূত্র বলছে, এসব নবীন প্রার্থীই ভোটারদের জন্য বড় ধরনের ‘চমক’ হতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  এবার হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

তরুণদের এগিয়ে আনা : ত্রিশোর্ধ্ব অনেক প্রার্থীই একসময় ছাত্রশিবিরের শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন—যেখানে তাদের বাবা আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন কিংবা দীর্ঘ সময় কারাভোগ করেছেন।

জামায়াতের প্রাথমিক তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, অন্তত ৫০ জন তরুণকে ইতোমধ্যে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর কিছু পরিবর্তন হতে পারে, তবে বেশির ভাগ নবীন মুখ মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

আলোচনায় শীর্ষে যারা : মাসুদ সাঈদী – সাবেক চেয়ারম্যান, সম্ভাব্য প্রার্থী পিরোজপুর-১। শামীম সাঈদী – পিরোজপুর-২ আসনে আলোচনায়। ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ – সাবেক ছাত্রশিবির সভাপতি, বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি; প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পটুয়াখালী-২ আসনে। ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমান – আলোচিত মীর কাসেম আলীর ছেলে, সম্ভাব্য প্রার্থী ঢাকা-১৪ আসনে। ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন – সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে; প্রার্থী পাবনা-১ আসনে। মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন – ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর; সম্ভাব্য প্রার্থী সিলেট-৬ আসনে।

আরও পড়ুনঃ  মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষায় ‘মঞ্চ ৭১’-এর আত্মপ্রকাশ, ৫ দাবি

ড. রেজাউল করিম, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ড. মোবারক হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব সালেহী, দেলাওয়ার হোসেন, ইয়াসিন আরাফাত – প্রত্যেকেই সাবেক ছাত্রশিবির সভাপতি; বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন।

অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান – সাবেক ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি, সম্ভাব্য প্রার্থী ঢাকা-১১। শিশির মনির, আতাউর রহমান সরকার, ইকবাল হোসাইন, রফিকুল ইসলাম মৃধা, সালাউদ্দিন আইয়ুবী, আনোয়ারুল ইসলাম রাজু – তরুণ প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন আরও অনেকে।

নির্বাচন ঘিরে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জামায়াতের নেতাকর্মীরা প্রচারণায় নেমেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও নানা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে বিগত সরকারের সময়ে দলের ওপর চালানো দমন-পীড়নের বিষয়টিও জনগণের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ১৬ বছরে রাজনৈতিক স্পেস না পাওয়া জামায়াতের এমন সমাবেশ ‘অবিশ্বাস্য’:

সব মিলিয়ে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তরুণ প্রার্থীদের সামনে রেখে বড় ধরনের চমক দেখাতে চায় জামায়াতে ইসলামী।

একদিকে নির্বাচনি মাঠে নবীন নেতৃত্বকে তুলে ধরা, অন্যদিকে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করা—এই দুই কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে দলটি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ