নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সামনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। সেইসাথে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৬ জন।
আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) উত্তরা ইপিজেডের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রংপুর রেজ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম মৃতের বিষয়টি যমুনা টেলিভিশনকে নিশ্চিত করে জানান, তার নাম হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি নীলফামারী সদর থানার সংরশি ইউনিয়নের কাজিরহাট গ্রামের দুলাল মিয়ার পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, নীলফামারী ইপিজেডে অবস্থিত এভারগ্রিন পরচুলা তৈরির কারখানায় গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি পূরণ না করেই এভারগ্রিন কর্তৃপক্ষ সোমবার রাতে কারখানা বন্ধ করে দিলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে।
পরে আজ সকাল থেকেই শ্রমিকরা একত্র হয়ে উত্তরা ইপিজেডের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ইপিজেডে প্রবেশ করতে চায়। এ সময় সেনাবাহিনী শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকদের নিবৃত করতে সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ ছয় জনকে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হাবিব নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় আরো বিপুল পরিমাণ শ্রমিক একত্র হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
নীলফামারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারহান তানভীর উল ইসলাম জানান, সকাল ৯ টার দিকে গুলিবিদ্ধ ছয় জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে হাবিব নামের একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকি পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে।
অপরদিকে, ৫৬ বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম বদরুদ্দোজা জানান, এলাকায় পুলিশ ও আর্মির পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি।