ইরানের মতো করে আরবের আরেক দেশ ইয়েমেনেও বিমান হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের বি-২ বোমারু বিমান দিয়ে আঘাত করা হবে ইয়েমেন ভূখণ্ডে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আক্রমণের মতোই ইয়েমেনে হুতি গোষ্ঠীর ওপর বিমান হামলা চালানো হবে। এক এক্স বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইয়েমেনের সাথে তেহরানের মতো আচরণ করা হবে। যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তুলবে, সেই হাত কেটে ফেলা হবে।’
মূলত ইসরায়েলে নতুন করে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে দখলদাররা। ওই হামলার পরই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে তাদের বিমান বাহিনী।
এদিকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইয়েমেনে বি-২ বোমারু বিমান দিয়ে বিমান হামলার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি। ইয়েমেনে বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান দিয়ে বিমান হামলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক্স বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শেষ, কিন্তু হুতিরা ইসরায়েলে আমাদের ওপর এই হামলা চালিয়েছে। সৌভাগ্যবশত, আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাই এবং সবকিছু পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি। হয়তো সেই বি-২ বোমারু বিমানগুলোর ইয়েমেন পরিদর্শনের প্রয়োজন!’
ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর সাময়িকভাবে দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কিংবা দুইপক্ষের এমন হুমকির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি হুতি।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে, হুতিরা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লোহিত সাগর, আদেন উপসাগর এবং আরব সাগরে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে এবং বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে।
সূত্র: আনাদোলু