Friday, October 17, 2025

বয়স ৩০ হওয়ার আগে বিয়ে-সম্পর্কিত যে ২০টি নিয়ম আপনাকে জানতেই হবে

আরও পড়ুন

বিয়ে শুধুমাত্র একটি সামাজিক বন্ধন নয়; এটি একটি বৈধ চুক্তি। যা দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্কের সূচনা করে। ভালোবাসার সম্পর্ককে সামাজিক এবং আইনি স্বীকৃতি দেয় এই বন্ধন। কিন্তু কবে এই বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া উচিত? বয়স কত হলে বিয়ের সিদ্ধান্তটি উপযুক্ত হয়? এ নিয়ে রয়েছে নানা মতপার্থক্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে করা শুধু আইনতই নয়, মানসিক ও সামাজিক দিক থেকেও ক্ষতিকর। অল্প বয়সে বিয়ে করলে দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা ও অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে এ সময়ের বিবাহিতদের মধ্যে অসন্তোষ এবং বিচ্ছেদের হার বেশি দেখা যায়।

সঙ্গীর চোখে লুকিয়ে থাকা কথা পড়ে ফেলতে পারলে দাম্পত্য হয় সুখের

গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৫-৩২ বছর বয়স বিয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এই বয়সে ব্যক্তি মানসিকভাবে পরিপক্ক হন, শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন।

মনোবিজ্ঞানী মরগান পেক দেরিতে বিয়ের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, পরিপক্ক বয়সে বিয়ে একজন ব্যক্তিকে দাম্পত্য জীবনে বোঝাপড়া এবং দায়িত্ব পালনে আরও দক্ষ করে তোলে। দেরিতে বিয়ে করা ব্যক্তিদের মধ্যে হতাশা, ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষ এবং বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা তুলনামূলকভাবে কম।

আরও পড়ুনঃ  সিসা বার খুলে দিতে তদবির, বুশরার স্বামী কে এই জাওয়াদ?

কখনোই ভালোবাসার জায়গাটা নষ্ট হতে দেবেন না

তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক- দাম্পত্য সম্পর্কের ‘স্পার্ক’ বজায় রাখার কিছু ‘ডু অ্যান্ড ডোন্টস’। নিয়মগুলো হলো-

১. প্রেমের টানে নয়, ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব দেখে বিয়ে করুন। কেননা, প্রেমের রসায়ন খুব দ্রুত ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। জীবনসঙ্গীর সততা, সহানুভূতি, ধৈর্য- এসবই সংসারে মুখ্য, খুবই জরুরি।

২. ঝগড়া, মনোমালিন্য, কথা-কাটাকাটি, ভিন্নমত- দাম্পত্য সম্পর্কে স্বাভাবিক। এসব কোনো সমস্যা নয়, যতক্ষণ সমস্যা একদিকে আর আপনারা দুজন আরেক দিকে। যদি একজন আরেকজনকে প্রতিপক্ষ মনে করেন, কটু কথা দিয়ে আক্রমণ করেন, আহত করেন, সেটা সমস্যা।

৩. ‘স্কোর’ গুনতে যাবেন না। কে কতটা ভুল করল, কতটা দিল, কতবার পুরোনো কথা তুলল- এসবের হিসাব রাখতে যাবেন না। কেননা, কেবল দাম্পত্য সম্পর্কই নয়, পৃথিবীর কোনো সম্পর্কেই ‘ফিফটি ফিফটি’ বলে কিছু হয় না, কমবেশি থাকবেই।

৪. প্রতিদিন সঙ্গীর মনোযোগ পাওয়ার জন্য কিছু করুন। ফিট থাকুন। সুন্দর পোশাক পরুন। নিজের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতি মনোযোগী হোন।

আরও পড়ুনঃ  হাসিনার মামলায় পিনাকীর আটকের বিষয়ে যা জানা গেল

৫. মনে রাখবেন, সম্পর্কে সবচেয়ে বড় বাধা হলো অর্থনৈতিক সংকট। অভাব দরজায় এলে ভালোবাসা আদতেই জানালা দিয়ে পালাতে সময় লাগে না।

৬. নিজের অভাব, অভিযোগ, হতাশা বা রাগ সঙ্গীর ওপর ঝাড়বেন না। আপনার সঙ্গী আপনার থেরাপিস্ট নন। সঙ্গীর সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলুন।

৭. ভালোবাসার সঙ্গে যদি সম্মান না থাকে, তাহলে বুঝবেন, খুব দ্রুতই ভালোবাসা অবসরে যেতে চলেছে।

৮. একজন আরেকজনকে ‘ডেট করা’ কখনোই বন্ধ করবেন না। সেজেগুজে খেতে যান, সারপ্রাইজ দিন, উপহার দিন, ঘুরতে যান। একজন আরেজনকে বিশেষ অনুভব করান।

৯. কোন বিষয় নিয়ে লড়বেন, আর কোনটা ছেড়ে দেবেন, সেটি সতর্কতার সঙ্গে বাছুন।

১০. নিজেদের সম্পর্কে পারতপক্ষে বাইরের মানুষকে জড়াবেন না। নিজের দাম্পত্য সম্পর্ককে সুরক্ষিত রাখুন।

১১. দয়া আর ক্ষমার ওপরে কিছু নেই। দাম্পত্য সম্পর্কে সেটি সবচেয়ে বেশি সত্যি।

১২. দুজনে মিলে বেড়ে উঠুন, এগিয়ে যান। কেননা, কেউ একজন যদি জীবনে একাই অনেকখানি এগিয়ে যান, তখন মাঝখানে দূরত্ব বাড়ে। তাই দুজনে মিলে এগোন, নিজেদের ‘সেরা ভার্সন’ হয়ে উঠুন।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ২ নেতা গ্রেপ্তার

১৩. মনে রাখবেন, প্রতারণার কারণে যতটা না সম্পর্ক ভাঙে, তার চেয়ে বেশি ভাঙে ইগো বা আত্ম-অহংকারের কারণে।

১৪. সন্তান হওয়ার পরও আলাদা করে নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্কের যত্ন নিন।

১৫. দাম্পত্য সম্পর্কে কখনোই একজন আরেকজনকে ‘ফর গ্রান্টেড’ হিসেবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটা দিন আপনার সঙ্গীকে সবার ওপরে প্রাধান্য দিন।

১৬. জনসমক্ষে একজন আরেকজনের পক্ষ নিন, একজন আরেকজনকে সুরক্ষিত রাখুন। গোপনে একজন আরেকজনের ভুল বা দোষত্রুটি সংশোধন করুন।

১৭. শারীরিক স্পর্শের ক্ষমতাকে অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই।

১৮. সঙ্গীর প্রশংসা করুন। সঙ্গীর কোন বিষয়টি আপনার ভালো লাগে, তা অকপটে বলতে দ্বিধা করবেন না।

১৯. একসঙ্গে হাসুন। এর চেয়ে ভালো ‘কাপল থেরাপি’ আর হয় না।

২০. ‘লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট’-কথায় কথায়, রাগের মাথায়, কারণে-অকারণে কখনোই একজন আরেকজনকে বিচ্ছেদের হুমকি দেবেন না।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ