দেশটিকে এ সংঘাতে সমর্থন দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণ প্রস্তুতিতে রয়েছে ইরান।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি সরকার যুদ্ধ চায় এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এতে সমর্থন দিয়ে আসছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি জানিয়েছে, ইরান মনে করে যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের মধ্যে আসন্ন বৈঠক ১২ দিনের যুদ্ধের আগে তাদের পরামর্শের চেয়ে আলাদা কিছু হবে না।
সূত্র জানিয়েছে, (ইসরায়েলি) সরকার যুদ্ধ চায়। আমাদের ধারণা ট্রাম্প এর বিরোধিতা করবেন। আমরাও সম্পূর্ণ প্রস্তুতির মধ্যে আছি।
সূত্র আরও জানিয়েছে, এসব বৈঠক মূলত প্রতারণামূলক। কারণ যা কিছু হওয়ার তা আগেই ঠিক করা থাকে। সম্প্রতি ট্রাম্পের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব প্রসঙ্গে সূত্রটি জানায়, যদি ট্রাম্প মনে করেন আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরও আমরা তাদের সাথে কোনো কূটনৈতিক চুক্তিতে আস্থা রাখবো, তাহলে তিনি মোটেও ভালো সমঝোতাকারী নন।
তিনি স্পষ্ট করে জানান, যুদ্ধকালীন পরিবেশে কোনো শান্তির জায়গা নেই। এই ধাপ অতিক্রম করার পরই শান্তি নিয়ে ভাবা যাবে।
এর আগে গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অনেক সাধারণ নাগরিক নিহত হন। জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। এরপর গত ২৩ জুন নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ শেয়ার করা এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে চূড়ান্তভাবে সম্মতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই যুদ্ধবিরতি ১২ ঘণ্টা ধরে চলবে, এরপরই যুদ্ধকে সমাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে।’
ট্রাম্প আরও জানান, প্রথমে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে, এরপর ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও আনুষ্ঠানিকভাবে এতে যোগ দেবে। মোট ২৪ ঘণ্টা পর এই ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বিশ্বব্যাপী সমাপ্ত হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
তিনি লেখেন, যুদ্ধবিরতির সময় দুপক্ষই শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ বজায় রাখবে। আমরা ধরে নিচ্ছি, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে—যা অবশ্যই হবে। এ জন্য আমি ইসরায়েল ও ইরান উভয় দেশকে সাহস, ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার জন্য অভিনন্দন জানাই।
এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারত—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধ বছর বছর ধরে চলতে পারত, কিন্তু তা হয়নি এবং কখনোই হবে না!’
পোস্টের শেষাংশে ট্রাম্প বলেন, ‘গড ব্লেস ইসরায়েল, গড ব্লেস ইরান, গড ব্লেস দ্য মিডল ইস্ট, গড ব্লেস দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা এবং গড ব্লেস দ্য ওয়ার্ল্ড!’