রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের একাদশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ দুই জনের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করার পক্ষে বিএনপি। তবে এ বিষয়ে ঐকমত তৈরি হয়নি।
বিচার বিভাগকে বাইরে রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করার ব্যাপারে সবাই একমত জানিয়ে তিনি বলেন, কাদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হবে তা নিয়ে ঐকমত তৈরি হয়নি। তবে, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে উচ্চকক্ষের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা আরও সহজ হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জরুরি অবস্থা জারি যাতে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত। তবে কোন প্রক্রিয়ায় কারা সিদ্ধান্ত নেবেন তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়লে অথবা প্রাকৃতিক মহামারি ছড়িয়ে পড়লে জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তাবনা বিএনপির।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন নেওয়ার ব্যাপারে একমত। জীবনের নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় ক্ষুণ্ণ করা যাবে না এমন বিষয়েও সবাই একমত।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে। এ বিষয়ে সরকারকে লিখিত প্রস্তাবনাও দিয়েছে দল।
সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি প্রস্তাবনা বিএনপির কাছে দিয়েছে সরকার, এনিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যের বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে। গতকাল রাতে নতুন করে ড্রাফট দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকলেও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত থাকে না। গণঅভ্যুত্থানকে যথাযথ মর্দাযায় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চায় বিএনপি।