রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আজও থমথমে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের পরিবেশ। রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি। উদ্ধার অভিযান রাতেই শেষ হয়। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে বিমান বাহিনীর সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেন। আলামত সংগ্রহের জন্য এসেছেন সিআইডির সদস্যরাও।
সরোজমিনে গেলে DMN express -এর কাছে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা অভিযোগ জানান, প্রকৃত মৃতের তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। তারা বলছেন, অনতিবিলম্বে আহত এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
মাইলস্টোনের শিক্ষকরা জানান, গতকালে ঘটনায় তারা গভীরভাবে শোকাহত। এছাড়া কত জন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন, আর কেউ নিখোঁজ আছে কি না, তালিকা করা হচ্ছে। পরে জানানো হবে।
এদিকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার জায়গাটিকে নেয়া হয়েছে ক্রাইম সিনের আওতায়। উৎসুক জনতাও আসছেন ঘটনাস্থল দেখতে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।