পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানে পুলিশ চেকপয়েন্টে ডাকাত দলের হামলায় ৫ পুলিশ নিহত হয়েছেন। পাল্টা আঘাতে এক ডাকাতও নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। এক বিবৃতিতে পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, কাঁচা এলাকার ডাকাতরা রহিম ইয়ার খানের একটি পুলিশ চেকপয়েন্টে হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ডনের খবরে বলা হয়, কয়েক দশক ধরে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত কয়েক ডজন ডাকাত দল উত্তর সিন্ধু এবং দক্ষিণ পাঞ্জাবে অবস্থান করছে। মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যকে পঙ্গু করে দেয়া, চাঁদাবাজি, নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং প্রধান মহাসড়কে লুটপাট করা নিত্যদিনের বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে অঞ্চলটিতে।
পাঞ্জাবের ইন্সপেক্টর জেনারেলের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে গুড্ডু-কাশমোর রোডের কাছে চক সেওয়েত্রা এবং চক মাহির মধ্যে অবস্থিত কাঁচা এলাকার শেখানি পুলিশ চেকপয়েন্টে রকেট লঞ্চার এবং গ্রেনেড ব্যবহার করে প্রায় ৪০ জন ডাকাত আক্রমণ করে।
হামলার সময় বাহাওয়ালনগরের মোহাম্মদ ইরফান, মুহাম্মদ সালিম এবং নুখাইলসহ এলিট ফোর্সের পুলিশ সদস্যরা নিহত হন। রহিম ইয়ার খানের খলিল এবং গজানফারও নিহত হন হামলায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে একজন ডাকাতও নিহত হয়।
আকস্মিক হামলার পর, পুলিশ এলাকায় ডাকাতদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইজি উসমান রহিম ইয়ার খান জেলা পুলিশ কর্মকর্তা ইরফান আলী সামনকে হামলায় জড়িত ডাকাতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। নিহত পুলিশ সদস্যদের জানাজা শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় রহিম ইয়ার খান পুলিশ লাইনে হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয় এতে।
এর আগে গত মাসে, কাঁচা এলাকার বিভিন্ন ডাকাত দল তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং ভিডিওর মাধ্যমে সরাসরি পুলিশের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দাবি করে, তারা তাদের লক্ষ্যবস্তু করবে। ভিডিওগুলোতে ডাকাতরা অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।
বিবৃতি অনুযায়ী, ডাকাতরা সম্প্রতি হাজিপুর এলাকার কাছে পাথর বহনকারী ট্রাকগুলোতে আক্রমণ করে ট্রাকের মালিকের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে। একইভাবে, এলাকার স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে যে সিন্ধু নদীর বিভিন্ন দ্বীপে এখনও বেশ কয়েকটি ডাকাত দল সম্পূর্ণ সক্রিয় রয়েছে।
মার্চ মাসে, সিন্ধু নদীর কাছে সাদিকাবাদ তহসিলের জামালদিন ওয়ালি এলাকায় একজন ইউটিউবার ডাকাত হত্যার প্রতিশোধ নিতে ডাকাতরা তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে। জানুয়ারিতে, ভোংয়ের কাছে চক সাওয়েত্রা এলাকা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনজনকে কাঁচা এলাকার ডাকাতরা অপহরণ করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।