Friday, August 22, 2025

যে কারণে পুতিনের মলমূত্রও বিদেশ থেকে রাশিয়ায় বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়

আরও পড়ুন

সারা বিশ্বের যে কয়েকজন উগ্র রাজনৈতিক নেতা আছেন, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন—রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কারণ এ মুহূর্তে চলছে রাশিয়া-উইক্রেন যুদ্ধ। তাই নিজের নিরাপত্তাও কড়াকড়ি করে ফেলেছেন তিনি।

পুতিনের নিরাপত্তায় থাকে অকল্পনীয় কড়া পাহারা। দৃশ্যমান ও অদৃশ্য উচ্চ প্রশিক্ষিত রক্ষীদের একটি সম্পূর্ণ বাহিনীর পাহারায় নিয়োজিত থাকেন প্রেসিডেন্ট। তার জীবন এতটাই কঠোর নিরাপত্তার বেড়াজালে ঘেরা থাকে যে, তা বলা বাহুল্য। তাকে ঘিরে যে নিরাপত্তা দলটি থাকে, তাদের সদস্যরা পরিচিত ‘মাস্কেটিয়ার’ হিসেবে। এই মস্কেটিয়াররা রাশিয়ার ফেডারেল প্রটেকটিভ সার্ভিসের একটি বিশেষ ইউনিটের সদস্য।

আর ‘চেগেট’ নামে এক ধরনের ব্রিফকেস সঙ্গে রাখতে বেশ পছন্দ করেন বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর এ নেতা। এই ব্রিফকেস মামুলি ব্রিফকেস নয়; চেগেটের আগের সংস্করণটি ছিল ভয়ানক, যা বিস্ফোরিত হলে আধামাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে সব কিছু ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখত। তবে এখন চেগেট ব্যবহৃত হয় যোগাযোগের যন্ত্র হিসেবে, যেটির একটি বোতাম চাপলেই মস্কো বুঝে যায়, পারমাণবিক আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে হবে দ্রুততম সময়ে।

আরও পড়ুনঃ  জরায়ুতে নয়, লিভারের ভিতরে বেড়ে উঠছিল ভ্রূণ!

আর পুতিনের নিরাপত্তারক্ষীরা বহন করে থাকেন সেই বিশেষ ধরনের ব্রিফকেস। তার জীবনের নিরাপত্তায় এতটাই কঠোর যে প্রেসিডেন্টের ওপর গুলি চললে ব্রিফকেস বুলেটপ্রুফ ঢাল হিসেবে সুরক্ষা করবে। তবে এটাই মূল কাজ নয়; ব্রিফকেসগুলোর মধ্যে একটির নাম ‘পু ব্রিফকেস’। ভিনদেশে থাকার সময় প্রেসিডেন্টের মলমূত্র সংগ্রহ করে রাশিয়ায় ফেরত নিয়ে আসাও হয় এর মাধ্যমে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থার কোনো তথ্য যাতে বাইরে প্রকাশ না পায়, তাই এমনটি করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  এইমাত্র পাওয়া: অসুস্থ তরুণীকে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে গণধর্ষণ

সে কারণে পুতিনের দেহরক্ষী বাছাইয়ে গুরুত্ব থাকে কয়েকটি বিশেষ গুণ। এর মধ্যে ‘অপারেশনাল সাইকোলজি’ ছাড়াও চরম শারীরিক ও মানসিক শক্তির পরীক্ষা দিতে হয়। যে কোনো আবহাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হয় দেহরক্ষীদের। ভ্রমণের কয়েক মাস আগে থেকেই পুতিনের এজেন্টরা তার গন্তব্যস্থলের খোঁজ নিতে শুরু করেন। তাদের কাছে থাকে এসআর-১ ভেক্টর পিস্তল। বুলেটপ্রুফ ভেস্টও ভেদ করতে পারে এ পিস্তলের বুলেট। সেই রিমোটলি বা দূরে থেকে বোমা বিস্ফোরণ রোধ করার জন্য বসানো হয় জ্যামিং ডিভাইস।

দক্ষ প্রযুক্তিবিদরা ইলেকট্রনিক নজরদারি চালান। আর এ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ভারি সাঁজোয়া যানের বহরে থাকে একে-৪৭, অ্যান্টি-ট্যাংক গ্রেনেড লঞ্চার এবং পোর্টেবল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল। আর বর্তমানে পুতিন ব্যবহার করেন রাশিয়ায় অরাস মোটরসের তৈরি বিলাসবহুল গাড়ি ‘অরাস সিনেট’।

আরও পড়ুনঃ  ওমরাহ পালনে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন একই পরিবারের ৭ সদস্য

এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের খাবারদাবারে নিরাপত্তায় থাকে আরও কড়াকড়ি। তার খাবারও একাধিক নিরাপত্তার ছাঁকনি পেরিয়ে টেবিলে আসে। কোনো রাঁধুনি নয়, বরং তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাই আগে খাবার মুখে নিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। অবশ্য এ যুগে খাবার চেখে দেখে পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ পুরো খাবার তৈরির প্রক্রিয়াতেই নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যুক্ত থাকেন। তাই শত্রুপক্ষের বিষ রান্নাঘরে পৌঁছানোর আশঙ্কা প্রায় শূন্যের ঘরে থাকে।

রান্না শেষে টেবিলে আসার আগেই সেটা অন্যরা খেয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। আর দেশের বাইরে গেলে প্রেসিডেন্টের জন্য বিশেষভাবে বহন করা হয় লবণ, গোলমরিচ, টমেটোর সস, পানির বোতল এবং ন্যাপকিন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ