সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ‘যা জানা গেল’ ধাঁচের সাংবাদিকতার প্রবণতা বাড়ছে। বস্তুনিষ্ঠতা ও তথ্য যাচাইয়ের সীমাবদ্ধতার অভিযোগে এসব প্রতিবেদনের সমালোচনা করছেন অনেকে। এবার এই ধারার সাংবাদিকতাকে ব্যঙ্গ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন—‘সেন্ট মার্টিন মার্কিনিদের কাছে বিক্রি করে প্রেস সচিবের পূর্বাচলের ১০ কাটা প্লট নেওয়ার ব্যাপারে যা জানা গেল!’ ব্যঙ্গাত্মক বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি মূলত এমন সাংবাদিকতার বিশ্বাসযোগ্যতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শফিকুল আলমের এই স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এর আগে, ‘বন্ধুর বাসা থেকে এই টাকা উদ্ধার, যা জানা গেল’ শিরোনামের রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি এই ধরনের সংবাদকে গুজবনির্ভর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির একাধিক নেতা মনে করছেন, যাচাই-বাছাই না করে ‘যা জানা গেল’ বা ‘জানা গেছে’ ভঙ্গির রিপোর্ট মূলত গুজব ছড়ানোর নামান্তর। এতে ব্যক্তি, পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি হতে পারে, যার দায়ভার সাংবাদিকতার নীতিবোধকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।