Friday, July 18, 2025

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা

আরও পড়ুন

ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি বিধ্বস্তের কারণ জানা গেছে। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ মানুষ নিহত হন। গত ১২ জুন বিমানটি একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়লে সেখানেও বহু মানুষ হতাহত হন। অপরদিকে বিমানটির ২৪২ আরোহীর একজন বাদে বাকি সবাই প্রাণ হারান।

ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার আগ মুহূর্তে বিমানটির জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে করে ইঞ্জিনে জ্বালানি যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলের হত্যাচেষ্টা থেকে যেভাবে বেঁচে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, জানালেন নিজেই

তদন্তকারীরা বিমানের ব্ল্যাকবক্স থেকে এই তথ্য খুঁজে বের করতে সমর্থ হয়েছেন।

তারা বলেছেন, বিমানের জ্বালানি সরবরাহের যে দুটি সুইচ আছে দুটিই এক সেকেন্ডের কম সময়ের ব্যবধানে চালু (রান) থেকে বন্ধ (কাট অফ) হয়ে যায়। ওই সময় বিমানটির গতি ১৮০ নটে পৌঁছেছিল।

ব্ল্যাকবক্স থেকে উদ্ধার হওয়া অডিও থেকে জানা গেছে, এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কেন জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ করেছেন। তখন অপর পাইলট জানান সুইচ বন্ধ করেননি।

আরও পড়ুনঃ  এবার ইসরায়েলের ওপর চটেছে সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ

জ্বালানি সরবরাহের সুইচ
এরপর সুইচগুলো আবারও চালু করা হয়। ওই সময় ইঞ্জিনে জ্বালানি যাওয়া শুরু করে। কিন্তু এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এরআগে ইঞ্জিন সচল রাখার জরুরি ব্যবস্থাও চালু করা হয়।

বোয়িং ৭৮৭ এ জ্বালানি সরবরাহের সুইচটি কাটঅফ নামে পরিচিত। এটি দুই পাইলটের আসনের মাঝে এবং থ্রোটল লেভারের নিচে থাকে। এগুলো একটি ধাতব দণ্ড দ্বারা সুরক্ষিত থাকে এবং ভুলক্রমে যেন বন্ধ না হয়ে যায় তাই সেখানে লকিং সিস্টেম রাখা আছে।

আরও পড়ুনঃ  ভারত সমর্থিত ৩০ সন্ত্রাসী নিহত

তদন্তকারীরা প্রমাণ পেয়েছেন, বিমান উড্ডয়নের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা ছিল না এবং এতে যে জ্বালানি ছিল সেটির কোয়ালিটিও ভালো ছিল।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ