মেয়েকে হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা আসমা বেগম নামে এক নারী। পরে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আসমার সেই মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশনের (পিবিআই) একটি দল। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায়।
সোমবার (১৪ জুলাই) পিবিআইয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন মা আসমা বেগম।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, সামিয়া বেগমের (১৯) স্বামী মো. আল-আমিন ও তার ভাই মামুনসহ অপরাপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সামিয়াকে হত্যা করে তার লাশ গুম করেছে।
পিবিআই জানিয়েছে, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য , ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ সুপার এসআই মো. শাহাদাত হোসেনকে মামলার তদন্তভার অর্পন করেন। তিনি নিবিড় তদন্ত পরিচালনা করেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত হন যে, সামিয়া বেগম নিখোঁজ হননি বা তাকে হত্যা করা হয়নি। পরে তাকে আশুগঞ্জ থানার তালশহর পশ্চিম গ্রাম থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরে সামিয়াকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে তিনি জানান, গত ১০ জানুয়ারি তার বিয়ে হয়। স্বামী মো. আল-আমিনের সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে পালিয়ে ঢাকার সাভারে তার এক খালার বাসায় ছিলেন। তাকে কেউ অপহরণ করেনি।