ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১৯ জন মারা গেছেন। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন দেড়শতাধিক। বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪৮ জনের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এছাড়া, উত্তরার কয়েকটি হাসপাতালে বহুজনকে ভর্তি করা হয়েছে। মারা গেছেন প্রশিক্ষণ বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরও। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার কিছু সময় পরে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই নামে প্রশিক্ষণ বিমান। আতংকে ছুটতে থাকেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
চারদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন সবাই। চিৎকার আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ। আহতদের দ্রুত উদ্ধার শুরু করেন সহপাঠীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল ছুটির সময় হঠাৎ বিমানটি আছড়ে পড়ে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় ভবনের একাংশে। আহত ও দগ্ধ হন অনেকে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট। একে একে বের করে আনা হয় আহতদের।
উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনী। হেলিকপ্টারে করে আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ভিড় সামলাতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যখন চারদিকে আতংক আর বিভীষিকা, তখন সাহস করে হতাহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন কলেজ শাখার এক শিক্ষার্থী। চোখের সামনে বিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ মুহূর্ত দেখেও ভয না পেয়ে তিনি আহত শিশুদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। হাসপাতালে আহতদের নিয়ে এসে তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন সেই বিভীষিকাময় সময়ের কথা।
এই শিক্ষার্থী বলেন, দু-তিনটি বাচ্চা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো, ‘আপু বাঁচাও। কিছু করো। ওদের চেহারা দেখার মতো ছিল না। পুরো চেহারা ঝলসে গিয়েছিল। ওদের ড্রেসও ছিঁড়ে গিয়েছিল।’