ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে তিনি লিখেছেন, স্বাস্থ্যগত কারণে ও চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি পদত্যাগ করছেন। জানা গেছে, গত মার্চ মাসে হৃদরোগজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের হয়ে জগদীপ ধনখড় ২০২২ সালের ৭ আগস্ট ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। ৭৪ বছর বয়সী ধনখড়ের এই দায়িত্বের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত ছিল। উপ-রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের আগে পশ্চিমবঙ্গের গর্ভনর ছিলেন ধনখড়।
ধনখড়ের পূর্বসূরী ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রাক্তন সভাপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু, যিনি ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় ছিলেন। তবে, ধনখড়ের পদত্যাগের পর কে হবেন পরবর্তী উপ-রাষ্ট্রপতি তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এ বিষয়ে একজন বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘এখনও এটি প্রক্রিয়াধীন। তবে আমি বিশ্বাস করি দল এমন কাউকে বেছে নেবে যিনি একজন দৃঢ় এবং বিতর্কিত নন।’
জনতা দল (ইউনাইটেড) এর সাংসদ ও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশকে এই পদের জন্য সম্ভাব্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, তিনি ২০২০ সাল থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সরকারেরও বেশ আস্থাভাজন।
ধনখড়ের তিন বছরের মেয়াদে রাজ্যসভায় বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে ঘন ঘন দ্বন্দ্ব ছিল তার। তবে, প্রায়শই বিতর্কিত বিষয়গুলোতে তার স্পষ্ট মন্তব্য সরকারকে চরমভাবে বিব্রত করেনি।
কিন্তু হঠাৎ করেই জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ অবাক করেছে সবাইকে। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে জানিয়েছেন যে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করছেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার জন্য আমি সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে অবিলম্বে কার্যকরভাবে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি।
সূত্র: এনডিটিভি