রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন তারা।
এরপর বেলা পৌনে ১টার দিকে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর বের হয়ে আসেন আসিফ নজরুল ও সি আর আবরার। আইন উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যান। এ সময় উপদেষ্টারা আবার কলেজের ভেতরে ঢুকে যান।
তারপর আবার তারা সেখানে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ঘিরে ধরেন এবং বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় সঙ্গে থাকা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ সেখানে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
অবরুদ্ধ দুই উপদেষ্টাকে একাডেমিক ভবন থেকে বের করে আনতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সেখানে এসেছে। তবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভবনের চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন। এখনো বের হতে পারেননি দুই উপদেষ্টা।
পুলিশ পাহারায় উপদেষ্টারা বের হওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।
এদিকে আন্দোলনে না আসতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা। সরজমিনে দেখা যায়, একাডেমি ভবনের ওপরের বেশ কয়েকটি ভবন নিয়ে ছাত্রীদের হোস্টেল। ছাত্রীরা ওপর থেকে কাগজ (আটকে থাকার কথা কাগজে লিখে) ফেলে তাদের আটকে রাখার কথা জানান। ছাত্রীরা ওপর থেকে হাত নেড়ে স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান এফটি-৭ বিজিআই রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের পাইলটসহ এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের কয়েকজন ছাড়া সবাই স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থী।