রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৬৫ জন।
বিমান বিধ্বস্তের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের ৭ মিনিট পর ১টা ১৩ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গেই সেটিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনটিতে।
আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যাচ্ছে বিমানটি। একেবারে মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। মুহূর্তেই ধরে যায় আগুন। ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। আশপাশে থাকা সবাই দৌড়ে এগিয়ে যান ভবনটিতে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমাদের ৫ ও ৭ নম্বর ভবনের মাঝখান দিয়ে ওই ভবনে আছড়ে পড়ে। সাথে সাথে তিনটা রুমসহ ওখানে ধসে পড়ে। প্লেনটা ভেতরে ঢুকে যায়। আমি স্পটে গিয়ে এটা দেখলাম।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার আগেও একবার বিমানটি স্কুলের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। দ্বিতীয়বার আসার সময় বিকট শব্দে বিধ্বস্ত হয়।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্রী কুমার টিটু বলেন, ‘বিধ্বস্ত হওয়ার তিন-চার মিনিট আগে পূর্ব পাশ দিয়ে উড়ে গেল। কিছুক্ষণ পর বিমানটা আবার ব্যাক করল। ক্লাসরুম থেকেই আমরা শব্দ পাই। এর পরই একটা শব্দ হয়।’
ভবনে পড়ার পরই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বিমানটি। স্কুল ছুটির ১৩ মিনিট পর বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেক প্রাণ বেঁচে গেছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা।