চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির লতিফুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক নিয়োগে এক প্রার্থীর জন্য সুপারিশের অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রার্থীর ভাইভা পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সুপারিশের স্বাক্ষরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তবে সুপারিশের ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, ‘ওই স্বাক্ষর আমার নয়।’
শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ডে স্টোরিটির মাধ্যমে ওই প্রবেশ পত্রটি প্রকাশ পায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পরে ডে স্টোরিটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
ডে স্টোরিতে দেখা যায়, প্রবেশ পত্রটি আজমীরা আরেফিন নামে এক নারীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য ৪ আগস্ট সকাল ১০টায় উপাচার্যের বাসভনস্থ দফতরে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা তার।
ডে স্টোরিটি ডিলিট করার পর এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন খান। পোস্টে ডে স্টোরিটি ভুলবশত প্রকাশ করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ওই পোস্টে উপ-উপাচার্য লিখেছেন, “আমার ফেসবুক স্টোরিতে একজন আবেদনকারীর প্রবেশপত্র কিভাবে আপলোড হয়েছে বুঝতে পারিনি। তবে মোবাইল ফোনটি নিয়ে আমার ছেলে বেশ কিছু সময় গেম খেলছিল। তখন হয়তো ভুলবশত স্টোরিতে এসে গেছে।”
তিনি আরও লিখেছেন,”.. রুয়ার নির্বাচনের সময় একজন অ্যালামনাস যিনি সাবেক এমপি ছিলেন উনার সাথে পরিচয় হয়। কয়েকদিন আগে উনি ফোন করে উনার এলাকার একজন আবেদনকারীর কথা বলেন এবং তার প্রবেশপত্র সেন্ড করেন। পরিচিত অনেকেই এরকম সুপারিশ করেন। তাদের মধ্যে ছাত্র, শিক্ষক, বন্ধু, সহকর্মী, রাজনীতিক অনেকেই আছেন। এই মুহূর্তে আমার অফিসে এবং মোবাইল ফোনে ডজন খানিক এরকম সুপারিশ আছে। তবে এগুলো কোনোভাবেই লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় প্রভাব ফেলে না। আশা করি বিষয়টি নিয়ে কেউ ভুল বুঝবেন না। ভুলবশত এই স্টোরির জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান বলেন, ‘আমি জানি আপনি কোন বিষয়ে কথা বলবেন। আমার এখন স্যালাইন চলছে। আমি খুবই অসুস্থ।’
প্রবেশ পত্রে স্বাক্ষরের বিষয়ে তিনি বলেন, `আমি স্বাক্ষর কেন করব? ওই স্বাক্ষর আমার না।’
লতিফুর রহমান নিজে সুপারিশকৃত প্রবেশ পত্রটি পাঠিয়েছিলেন কিনা জানতে রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।