Wednesday, August 27, 2025

আজানের শব্দে ‘অসুবিধা হচ্ছে’ বলায় বিএনপি নেতার প্রতিবাদ, ছুরিকাঘাতে হত্যা

আরও পড়ুন

শরীয়তপুরের জাজিরায় মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ায় ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে ইমামকে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় খবির সরদার নামের এক বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আলমাস সরদার নামে একজনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম। 

এর আগে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বড়কান্দি ইউনিয়নের ওমরদি মাদবর কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত খবির সরদার ওই এলাকার মৃত ইউনূস সরদারের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ওমরদি মাদবর কান্দি এলাকার মসজিদে ভোররাতে মাইকে আজান দেওয়া ও বয়ান করায় ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে তাই ইমামকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠে আলমাস সরদারের বিরুদ্ধে। জানতে পেরে মসজিদ কমিটির লোকজন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায় ও পরবর্তীতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। এরপর থেকেই আরও ক্ষিপ্ত হয় অভিযুক্ত আলমাস সরদার।

আরও পড়ুনঃ  মসজিদ উদ্বোধন করে নিজেই ইমামতি করলেন ঢাবি ভিসি

মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির সামনে মসজিদ কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খবির সরদারকে ছুরিকাঘাত করে বলে অভিযোগ উঠে আলমাস সরদারের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয়রা তার ডাক চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে দ্রুত জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ।

মসজিদ কমিটির সভাপতি দানেশ সরদার বলেন, মসজিদের মাইকে আজান ও বয়ান দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আলমাস সরদার ইমামকে হুমকি দিয়েছিলো। পরে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়। এরপর থেকেই ও আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।  সুযোগ বুঝে খবির সরদারকে ছুরিকাঘাতে করে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই

আরও পড়ুনঃ  ‘বাবা গ্রেপ্তার, এবার ছেলের পালা’

এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদার বলেন, মসজিদের মাইকে আজান দিলে আলমাস সরদারের ঘুমে ব্যাঘাত হয় তাই সে মসজিদে এসে হুজুরকে হুমকি দেয়। পরে মসজিদের সবাই প্রতিবাদ জানায়। তাই ওই আওয়ামী সন্ত্রাসী আলমাস গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে খবির সরদারকে হত্যা করেছে। খবির সরদার আমাদের বিএনপি একনিষ্ঠ কর্মী ও বড়কান্দি ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

আরও পড়ুনঃ  সেনাবাহিনীর সহায়তায় যেভাবে উদ্ধার হলেন নাহিদ-হাসনাতরা

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা কবির আলম বলেন, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তার বুকের ডানপাশে চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এতে তার ফুসফুসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিলো। এতেই সে মারা গেছে।

জাজিরা থানার ওসি বলেন, খবির সরদার নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরতে এরই মধ্যে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ