আগামী ১৯ জুলাই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে ১০টায় রাজধানীর একটি কার্যালয়ে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, জনসমাগম, নিরাপত্তা ও গণসংযোগসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, ইসলামিক দাওয়াহ সার্কেল মালয়েশিয়ার সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর, মহানগর পর্যায়ের নেতাসহ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও আইআরডি প্রতিনিধিরা।
সভায় সমাবেশ সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
১. মঞ্চ নির্মাণ, সাউন্ড সিস্টেম, ব্যানার ও ডিজিটাল ডিসপ্লেসহ সব ধরনের কারিগরি প্রস্তুতি ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
২. স্বেচ্ছাসেবক দলকে দায়িত্ব বণ্টন করে মাঠে নামানো হবে এবং আগত জনসাধারণকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।
৩. পানীয়, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও যাতায়াতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ট্রাফিক ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
৫. গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমাবেশের বার্তা ছড়িয়ে দিতে মিডিয়া উপ-কমিটি আরও সক্রিয় করা হবে।
সভায় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের প্রতীক। তাদের স্মৃতিকে সম্মান জানাতেই আমরা এই ‘জাতীয় সমাবেশ’ আয়োজন করেছি। সুষ্ঠু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দেশপ্রেমিক জনতাকে ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীর ৭ দফা দাবির ভিত্তিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এটিকে ঐতিহাসিক গণজাগরণে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনাময় একটি কর্মসূচি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।