Sunday, July 27, 2025

ধর্ষণের পর মন্দির চত্বরেই ৫০০ লাশ গুম! উত্তপ্ত গোটা ভারত

আরও পড়ুন

ভারতের কর্ণাটকের জনপ্রিয় তীর্থস্থান ধর্মস্থলকে কেন্দ্র করে সামনে এসেছে ভয়ংকর তথ্য। মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রভাবশালীরা এখানে ঘুরতে আসা প্রার্থনা করতে আসা কম বয়সী মেয়েদের গণধর্ষণের পর হত্যা করতো। আর তাদের লাশ গুম করা হতো, পুড়িয়ে ফেলে বা গণকবর দিয়ে। সম্প্রতি সেই মন্দিরে সন্ধান মেলে এক বা দুটো নয়! ৫০০ টি গণকবরের, উদ্ধার হয় ১০০ এর ওপর নারীদেহের কংকাল। যার রাজসাক্ষী আবার এক সাফাই কর্মী। যে ঘটনায় এখন উত্তপ্ত গোটা ভারত, হচ্ছে আন্দোলনও।

সেই সাফাই কর্মীর অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে শত শত নারীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মন্দির চত্বরেই।

আরও পড়ুনঃ  গোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে যে বার্তা ভারতের

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ পত্রে সেই সাফাই কর্মী লিখেন, “অনেক নারীর দেহে ন্যূনতম পোশাক বা অন্তর্বাসটুকু পর্যন্ত ছিল না। যৌন নির্যাতন এবং নৃশংস খুনের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। হয় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। বা শরীরে ক্ষতের কারণে রক্তক্ষরণেই তাঁদের মৃত্যু হয়। যা ভয়াবহ হিংস্রতাকে ইঙ্গিত করে। ছাত্রী সহ ১০০ জনেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ, হত্যা এবং কবর দেওয়া হয়েছিল। অনেকে নাবালিকাও ছিল।” এমনকি তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে ধর্মস্থল পুলিশের কাছে কংকালের অবশিষ্টাংশের ছবিও দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলের প্রযুক্তির বড়াই যেভাবে ধূলিসাৎ করে দিল ইরান

এছাড়া নাম প্রকাশ না করা সেই সাফাই কর্মী ভারতীয় গণমাধ্যমের সামনে দাবি করেছেন, ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নারকীয় নির্যাতনের শিকার মেয়ে থেকে মহিলাদের দেহ তিনি কবর দিয়েছেন, বেশ কিছু পুড়িয়েওছেন। তাই তাঁর দাবি, নির্যাতিত ও নিহত নারীর সংখ্যাটা ১০০-র বেশিও হওয়াই স্বাভাবিক। সম্প্রতি কিছু কংকাল তিনি খুঁড়ে বেরও করেছেন তিনি। এদিকে, সুজাতা নামে এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন তার মেয়ে অনন্যাকে নিয়ে, যে ২০০৩ সালে মন্দির শহরে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তার দাবি তার মেয়েকেও ধর্ষণের পর হত্যা করে সেই মন্দিরের জীবন্ত নরপিশাচরা।

আরও পড়ুনঃ  ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা, প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩ লাখ মানুষের

কর্ণাটকের জনপ্রিয় তীর্থস্থান ধর্মস্থল ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ভারতীয় হিন্দুদের প্রর্থনার জন্য। আর সেখানে গিয়েই নিরাপদ নয় স্বয়ং ভারতীয় হিন্দু নারীরাই। এবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদির গদি ধরে টানাটানি শুরু করেছেন ভারতীয়রা। তাদের দাবি এই ঘটনার সাথে সে সময়ের বিজেপি নেতারা জড়িত। তাই মোদি সব জানার পরও এখনও মন্দির কর্র্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ