Saturday, October 18, 2025

‘নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে আমি তাদের করতে দিছি’

আরও পড়ুন

বেফাঁস কথা বলে আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বরিশাল- ২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা সরদার সরফুদ্দিন সান্টু। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং উজিরপুর উপজেলা সভাপতি। বিএনপি নেতাকর্মীকে চাঁদাবাজিতে উৎসাহিত করতে তাঁর একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রায় পুরো সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। গত বছর ৫ আগস্টের পর দেশে ফেরেন। তাঁর অনুসারীর বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলের নানা অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আধিপত্য নিয়ে নেতাকর্মীর একাংশের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ান সান্টু। বেফাঁস কথা বলে তিনি আলোচিতও হচ্ছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সান্টুর বক্তব্য বানারীপাড়া ও উজিরপুরে তাঁকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘গত এক বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে, সেটা আমি তাদের করতে দিছি। কারণ গত ১৭ বছর নেতাকর্মীরা কিছু খায় নাই। অবস্থা কিন্তু ভালো না। দল ক্ষমতায় না এলে কিন্তু কিছু পাবেন না।’

আরও পড়ুনঃ  ১৪ বছর পর বাসায় ফিরে প্রিয়তমা স্ত্রীর সাক্ষাৎ পাবেন না আজহার ভাই: সিরাজুল ইসলাম

দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গত জুলাইয়ে বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। এতে গঠিত নতুন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সান্টু নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। ওই সভায় দেওয়া তাঁর বক্তব্যের ভিডিও শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মাহমুদ মাহবুব মাস্টার। তিনি নিশ্চিত করেন, সভাটি হয়েছিল উজিরপুরের গুঠিয়ায় সান্টুর বাইতুল ভিউ কনভেশন হলে। সান্টু চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত কথাগুলো বলেছিলেন। মুখ ফসকে সান্টু এসব কথা বলেছেন বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  কে হচ্ছেন জামায়াতের পরবর্তী আমির? সবার আগে যার নাম

তবে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মৃধা বলেন, ডিভিওটি আমি দেখেছি। ওটি কোন সভার, চিহ্নিত করতে পারিনি। আমার ধারণা, এটি কাটপিস করে তৈরি করা। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

বরিশাল-২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশ-বিষয়ক সহসম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু নিশ্চিত করেন, কোনো কাটপিস নয়। তিনি (সান্টু) একের পর এক বেফাঁস কথা বলে দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে সান্টুর ফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি।

এর আগে গত ১৯ জুলাই উজিরপুর ও ২০ জুলাই বানারীপাড়া উপজেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ দুই সম্মেলনে সান্টু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দুই উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে জড়িয়ে বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুনঃ  গ্রামীণ ব্যাংকের পদ ছাড়তে চায় না, রাষ্ট্রের পদ ছাড়বে কিভাবে : বিএনপি নেত্রী নিলুফা

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার হাতে দল চালাতে ১০ লাখ টাকা দিয়ে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছি। ম্যাডাম কথা রেখেছেন।’ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের উদ্দেশে বলেন, ‘তাকে নমিনেশন এনে দিয়ে ভোটে জেতাতে ছয় লাখ টাকা দিয়েছি। অইয়াই আমারে বাঁশ দেওয়া শুরু করছে। আমাকে মামলায় দিয়েছে।’ সরোয়ারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই দিন ভুইল্লা যান। আমি কিন্তু বরিশালে একবার ভোট করেছি, আবারও করে দেখাব।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ