গভীরে রাতে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভে উত্তাল মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ এলাকা। সর্বশেষ রাত সোয়া ৪ টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলছিল।
সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পুরনো সব প্লেন বাতিল ও শিক্ষার্থীদের মরদেহের সঠিক সংখ্যা ঘোষণার দাবিতে এই বিক্ষোভ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা নিহতের মরদেহের সঠিক সংখ্যা জানি না। রাত ২টায় কলেজে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢুকে কিছুক্ষণ থেকে আবার বের হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা কি করছে বুঝতে পারছি না। আমাদের কিংবা আমাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছে না সেখানে। তাই আমরা বিক্ষোভ করছি। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস দেখাচ্ছি। বিচারহীনতা, অবহেলা ও দমননীতির বিরুদ্ধে আমাদের দাবি স্পষ্ট, আমাদের অবস্থান অটল। আমরা কালকেও দিনভর আন্দোলন চালিয়ে যাব।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হচ্ছে নিহতদের সঠিক নাম ও তথ্য প্রকাশ, আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ, শিক্ষকদের গায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাত তোলা– এই জঘন্য ঘটনার জন্য জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া, নিহত প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো প্লেনগুলো বাতিল করে আধুনিক প্লেন চালু করা, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিবর্তন করে আরও মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করা।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুলপর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যায়। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হন। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রাত সোয়া ৪ টা পর্যন্ত ২৭ জন নিহতের সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে।