Monday, August 18, 2025

তরুণীর প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তাঁর স্বামীকে আইইডি বোমাসহ স্পিকার বক্স উপহার তরুণের

আরও পড়ুন

ভারতের ছত্তিশগড়ে ২০ বছরের এক তরুণসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক ব্যক্তিকে খুন করার উদ্দেশ্যে তাঁকে একটি স্পিকার উপহার দিয়েছিলেন তাঁরা; যার ভেতরে দুই কেজি ওজনের একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) লুকানো ছিল। স্পিকারটি বিদ্যুতের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তরুণটি ওই ব্যক্তির সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন।

গত শুক্রবার ছত্তিশগড়ের খয়রাগড়-ছুইখাদান-গান্ডাই জেলার মানপুর গ্রামে এ ঘটে বলে জানিয়েছে দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

আরও পড়ুনঃ  পুতিনের বরখাস্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিজেকে শেষ করে দিলেন রুশ মন্ত্রী

হামলার শিকার আফসার খান একজন ইলেকট্রিশিয়ান। তাঁর একটি ছোট দোকান আছে। ঘটনার কয়েক দিন আগে একটি উপহার পেয়েছিলেন আফসার, যেটির ওপর তাঁর নাম ছিল। তবে তাতে প্রেরকের নাম লেখা ছিল না।

উপহারটি যখন দেওয়া হয়, তখন আফসারের দোকান বন্ধ ছিল। গত শুক্রবার তিনি দোকানে পৌঁছে উপহারটি খোলেন এবং দেখেন যে স্পিকারগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভারী।

সন্দেহ হওয়ায় থানায় ফোন করেন আফসার। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রাথমিক তদন্তের পর একটি বোম্ব ডিটেকশন অ্যান্ড ডিসপোজাল টিম (বিডিডিএস) ঘটনাস্থলে যায় এবং তাদের প্রশিক্ষিত কুকুর স্পিকারের মধ্যে লুকানো বিস্ফোরক শনাক্ত করে।

আরও পড়ুনঃ  রুহুল্লাহ খামেনিকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন

এ ঘটনায় পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রথমে এটি একটি ক্লুবিহীন মামলা ছিল। কিন্তু আমরা প্রযুক্তিগত প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের খোঁজা শুরু করি, যা আমাদের মূল আসামির কাছে নিয়ে যায়।’

মূল অভিযুক্ত বিনয় ভার্মা আইটিআই ডিপ্লোমাধারী। তিনিও একজন ইলেকট্রিশিয়ান।

ঘটনা তদন্তের একপর্যায়ে বিনয়ের ফোন জব্দ করে পুলিশ, যেখান থেকে তারা জানতে পারে, তিনি অনলাইনে ‘কীভাবে বোমা তৈরি করা যায়’ এবং ‘কীভাবে পুলিশের কাছে ধরা না পড়া যায়’—এ বিষয়ে খোঁজ করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্সসহ পশ্চিমা ১৫ দেশের বড় পদক্ষেপ

আফসার খান পুলিশকে জানান, তাঁর স্ত্রী সতর্ক করেছিলেন, বিয়ের আগে বিনয় তাঁকে অনুসরণ করতেন এবং তিনি তাঁদের ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারেন।

খান বলেন, তাঁর স্ত্রীর সতর্কতাই তাঁকে উপহারটি নিয়ে সন্দেহ করতে বাধ্য করে।

গ্রেপ্তারের পর বিনয় পুলিশের কাছে স্বীকার করে, তাঁর পাশের গ্রামের বাসিন্দা আফসারের স্ত্রীর প্রতি তাঁর ‘একতরফা ভালোবাসা’ ছিল। তাঁরা একই স্কুলে পড়তেন। শৈশবেই মেয়েটির প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয় তাঁর।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ