Saturday, July 19, 2025

‘দলের কর্মসূচি মিস করব, এই কষ্ট সইতে পারছি না’

আরও পড়ুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টের পাঁয়তারা, গুপ্ত সংগঠনের মব সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সোমবার (১৪ জুলাই) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পদদলিত হন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরীন উর্মি। এতে তার ডান পা ভেঙে যায়।

দুর্ঘটনার পরপরই তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তার পায়ে প্লাস্টার করে এক মাসের বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।

নওরীনের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ছাত্রদল নেত্রী ফারহানা বিনতে ইভা। তিনি জানান, দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শাহবাগ যাচ্ছিল। অগ্রভাগে নওরীনসহ তিনিও ছিলেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে রোড ডিভাইডারের কারণে রাস্তা কিছুটা সংকীর্ণ ছিল। ফলে পেছন থেকে মিছিলরত নেতাকর্মীদের চাপ হঠাৎ বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে একজন কর্মী নিজেকে সামলাতে না পেরে নওরীনের ওপর পড়ে যান। এতে নওরীনও রাস্তায় পড়ে যান।  

আরও পড়ুনঃ  থানা ভাঙচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার

ইভা বলেন, দুর্ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটে যে নওরীন আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। তখনই পেছন থেকে নেতাকর্মীদের চাপে সে পদদলিত হয়। পরে আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে গিয়ে জানা যায়, ডান পা ভেঙে গেছে নওরীনের।

যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে নওরীন বলেন, পা ভেঙেছে— এই কষ্ট আমার কাছে বড় নয়। বরং দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে না পারাটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় দুঃখ।

তিনি আরও বলেন, এই পুরো মাস জুড়েই দলের নানা কর্মসূচি রয়েছে। বিএনপিকে কেন্দ্র করে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এমন সময় আমি বিছানায় পড়ে থাকব, এটা ভাবতেই পারছি না।

আরও পড়ুনঃ  মসুলমানদের কেবলা সৌদি আরব, আওয়ামী লীগের কেবলা গোপালগঞ্জ

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৪ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ছাত্রদল। মিছিলটি নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, কার্জন হল, টিএসসি হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, বিভিন্ন কলেজ, ইউনিট ও থানার নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তারা ‘জামায়াত-শিবির-রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘রাজাকার আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার’, ‘পিন্ডি যাবে রাজাকার, দিল্লি গেছে স্বৈরাচার’ ইত্যাদি স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ