Friday, August 22, 2025

ইউনুস সরকারকে হটাতে গোপনে ছাত্রলীগকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে পুলিশের এসপি

আরও পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবময় ইতিহাস ক্ষুন্ন করেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। এই বাহিনীকে দলিও করনে মাধ্যমে এই বাহিনীকে পেটুয়া,দখলদার বাহিনীতে রুপান্তর করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশ পরের জমি দখল সহ নানা বিধি অপরাদে জড়িয়ে পরে।
নৈতিক অবক্ষয় হয় পুলিশের তারি ধারাবাহিকতায় অন্য জনের জমি দখলে নিতে উঠে পরে লেগেছে বরিশালের সাবেক এসপি মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম (বিপিএম),বরিশাল জেলা প্রধান সরকারি মোহাম্মদসিদ্দিকুর রহমান,শ্রী সুবিমল ঢালী,এস আই মাজিদুল ইসলাম সহ অনেকেই ।

তারা সকলেই ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং ইউনুস সরকারকে হটিয়ে আওয়ামীলীগ কে পুনুরায় ক্ষমতায় আনার জন্য , সারাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,শ্রমিক লীগকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ! অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রয়েছে বহাল তবিয়তে।

অথচ অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ সকল কর্মকর্তা। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পুরো আমল জুড়ে এ সকল কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থেকে ফয়দা লুটেছেন। এসপি মোঃ ওয়াহিদুল ইসলামের সাথে সাবেক মন্ত্রী ও আইজিপি সচিবের সহ আওয়ামীলীগের নেতাদের সঙ্গে ছিল নিবিড় সম্পর্ক। এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিলে আমল নিতো না কেউ কারণ আওয়ামী লীগের প্রিয়জনের তালিকায় তিনি । আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা বতর্মানেও ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনো সক্রিয় রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ৫ আগস্ট সব পোশাক কারখানা ছুটি নিয়ে নতুন যে সিদ্ধান্ত জেনে নিন

সূত্র জানায়, স্বৈরাচার সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটি অংশ এ কর্মকর্তা যে কোন উপায় পৌঁছে দিতেন সাবেক মন্ত্রী ও আইজিপি সচিবের কাছে।সাবেক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের অনেক দোসরদের সঙ্গে এ কর্মকর্তার প্রতিনিয়ত যোগসাজস রয়েছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে। নামে বেনামে রয়েছে সম্পদের পাহাড়! সকল অপরাধ থেকে রেহাই পেয়ে যায়। আওয়ামী লীগের অনুসারী হওয়ার সুবাদে এই কর্মকর্তা।ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে শুর পাল্টে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যায় ।তাই এখনও চাকুরীতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ কর্মকর্তা।

বরিশালের সাবেক এসপি মোঃ ওয়াহিদুল ইসলামকে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।

বৈষম্য বিরুদ্ধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাম না প্রকাশ সত্ত্বে বলেন বলেন, এই পুলিশ কর্মকর্তা বরিশালে থাকাকালীন সময় বিরোধী মতের লোকজন ধরে বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে র্নিযাতন করত। অন্যর জমি দখল এটাতো একটি সামান্য ঘটনা। ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,শ্রমিক লীগকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ! থাকা সত্ত্বেও
রয়েছে বহাল তবিয়তে।
আওয়ামী লীগের লোক! হওয়ার সুবাদে সুবিধা জনক স্থানেই চাকরির বেশি ভাগ সময় পার করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমরা চুনোপুঁটি ধরি, বড় একটা রুই ধরেছি আর আপনারা লেগে গেলেন’

তার নিজ এলাকায় একাধিক ব‍্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীত সাথে জড়িত তার পরিবার। ছাত্র অবস্থায় ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা সত্য।একথা গুলো তার নিজ এলাকায় বিভিন্ন ব‍্যক্তির কাছ থেকে জানাযায়। আওয়ামী লীগের তথ্য সন্ত্রাসী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।এদের মূল উদ্দেশ্যই হলো ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেন,
অবৈধভাবে অন্যের জমি দখল এটা কোন ছোট্ট অপরাধ নয়।দুর্নীতি কখনো ছোট বড় নয় দুর্নীতি তো দুর্নীতিই সেটি যেমনই হোক। ছোট ছোট দুর্নীতি থেকেই বড় বড় দুর্নীতির জন্ম দেয়। দুদক আগের চেয়ে ভালো কাজ করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। দুদকের দুর্নীতির বিষয়ে আর বিশদ অনুসন্ধান প্রয়োজন। একইসঙ্গে দুদকের জনবলেরও ঘাটতি রয়েছে সেগুলোর সমাধান প্রয়োজন। কেননা যে তুলনায় দুর্নীতির অভিযোগ আসে সেই তুলনায় দুদক অনুসন্ধান করতে পারে না। যদি সকল দুর্নীতি দুদক অনুসন্ধান করতে পারতো তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসত। তবে আমরা আশাবাদী দুর্নীতিবাজদের শিকড় উপড়ে ফেলা সম্ভব সেটি একদিন হবেই।

আরও পড়ুনঃ  এসএসসির ফল প্রকাশ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা জানালেন উপদেষ্টা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান
বলেন,আমরা অনেক দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছি।অভিযোগ পেয়েছি সেটা তদন্তের মাধ্যমে আইন আনুগব‍‍্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যারাই অপরাধ করুক না কেন আমাদের অনুসন্ধানে যদি কোনোভাবে প্রমাণিত হয়।তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব এবং প্রয়োজনীয় যত ব্যবস্থা আছে তা নেব। কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না।দুর্নীতি দমন কমিশন,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিআইজি বরিশাল সহ সকল দপ্তরের অভিযোগ দাখিল করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ